ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার ব্যাংকিং লেনদেন সহজ করা হচ্ছে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপনডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২৪
বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার ব্যাংকিং লেনদেন সহজ করা হচ্ছে

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার ব্যবসায়িক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ককে বিশ্বের মধ্যে অনন্য উল্লেখ করে ভারতের সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার বলেছেন, আগামীতে দুই দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বৃদ্ধি ও পারস্পরিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে টাকা-রুপিতে লেনদেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।  

তিনি বলেন, বিশ্বের যেকোনো দেশের তুলনায় বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা বেশি ইস্যু করা হচ্ছে।

বাংলাদেশিরা যেন আরও দ্রুত ভিসা পায়, সেজন্য ভারতীয় ভিসা সহজ করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের কথা মাথায় রেখে টাকা-রুপিতে আমদানি-রপ্তানি করতে দুই দেশের ব্যাংকিং লেনদেন কার্যক্রম সহজ করা হচ্ছে।

সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে জেলা শহরের পুরাতন বাজারের চেম্বার ভবনে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রুপি-টাকায় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বাড়ানোর লক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত সভায় ঢাকার ভারতীয় স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত কুমার ঘোষ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রুহুল আমিন, চেম্বারের সিনিয়র সহ-সভাপতি মশিউল করিম বাবু ও সহ-সভাপতি রিমন, সোনা মসজিদ স্থলবন্দরের আমদানি ও রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি কাজী শাহাবুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রশিদ, লুনা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মো. রায়হানুল ইসলাম লুনা, মো. শামসুল আলম গানু, আনোয়ার অটো রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী মো. আনোয়ার হোসেন, নজরুল অটো রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী মো. খাদেমুল ইসলামসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও আমদানি-রপ্তানিকারকরা উপস্থিত ছিলেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ  জানান, ডলার সংকটের মুহূর্তে দুই দেশ গত বছর আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু করে। ভারতের সঙ্গে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ক্রমান্বয়ে জোরদার হচ্ছে সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ দিয়ে। এ উদ্যোগকে গতিশীল করতেই আয়োজন করা হয় এ মতবিনিময় সভার।

তিনি সীমান্তবর্তী এ জেলার গুরুত্ব বিবেচনায় আমদানি ও রপ্তানিকারক এবং ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সমস্যা ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার অনুরোধ জানান। বৈশ্বিক ডলার সংকটের মুহূর্তে নিত্যপণ্যের দাম সহনশীল করতে টাকা-রুপিতে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি।

অন্যদিকে ভারতীয় স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ঘোষ দ্বিপাক্ষিক লেনদেনে কিছু সমস্যা তুলে ধরে বলেন, টাকা-রুপিতে লেনদেন কার্যক্রম গতিশীল ও কার্যকর করতে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানির পরিমাণ বাড়াতে হবে। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানির সমপরিমাণ পণ্য দ্বিপাক্ষিক লেনদেনের মাধ্যমে আমদানিতে আপাতত কোনো বাধা নেই। তাই সোনা মসজিদ সীমান্তেও এভাবে আমদানি-রপ্তানি করা যেতে পারে। তবে এ মুহূর্তে বাংলাদেশ সরকার যেসব ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করার অনুমতি দিয়েছে, সেসব ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন সম্ভব হবে।

টাকা-রুপিতে আমদানি-রপ্তানি করতে দুই দেশের ব্যাংকিং লেনদেন কার্যক্রম সহজ করা হচ্ছে বলেও জানান স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২৪
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।