ঢাকা: জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান বলেছেন, বাজারে এত এত স্বর্ণ অথচ আমদানি নেই—এটা দেশের মানুষের জন্য, কারও জন্য ভালো নয়। তাহলে এ খারাপ কাজটা আমরা কেন কন্টিনিউ করছি।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে একথা বলেন তিনি।
জুয়েলারি ব্যবসার প্রতিবন্ধকতা জানতে চেয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমরা ব্যবসা-বাণিজ্য এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। সমস্যাগুলো দূর করতে চাই। এত এত স্বর্ণ বাজারে অথচ স্বর্ণ আমদানি নাই কেন, এই প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই। এটার জবাব আমি খুঁজতে চাই।
স্বর্ণ আমদানি কম হওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, যাত্রীরা যারা বিদেশ থেকে স্বর্ণ আনেন তাদের ব্যাগেজ রুলসের আওতায় কর দিতে হয়। কিন্তু যারা আমদানি করেন তাদের ক্ষেত্রে কর অনেক কম। তারপরও আমাদের স্বর্ণ আমদানি হয় না কেন? দেশে এত এত জুয়েলারি, এসবে স্বর্ণ আসছে, বিক্রি হচ্ছে কিন্তু আমদানির কোনো রেকর্ড নাই। আমদানির রেকর্ড খুবই সামান্য। অথচ আমদানি নীতিমালা আছে।
এ সময় বাজুসের নেতারা বলেন, চার বছর ধরে আমদানির লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে। দুই বছর ব্যবসায়ীরা আর্থিক কারণে আমদানি করতে পারি নাই। এনবিআরের উচিত এর ওপর করের হার কমানো।
এবিআর চেয়ারম্যান বলেন, গত সপ্তাহে সাড়ে ১৭ কেজি জব্দ করা হয়েছে সিলেটে। এটা একদিকে বেআইনি কাজ, এর জন্য বড় বড় শাস্তি আছে। আবার এ চোরাচালানকে কেন্দ্র করে প্রচুর খুনখারাবি হয়, তথ্য আদান-প্রদান নিয়ে হয়ে যায়। সর্বশেষ বড় একটা একটা সেনসেশনাল, মাল্টিন্যাশনাল কিলিং দেখেছি। যার লাশটাও পাওয়া যায়নি। বলা হয় তিনি এ কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
দেশে সোনা চোরাচালানের ৯৯ শতাংশই ধরা পড়ে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমরা ১০০টার মধ্যে একটা ধরতে পারি। ৯৯টা ধরতে পারি না, নানা কারণে।
বৈঠকে বাজুসের জেনারেল সেক্রেটারি বাদল চন্দ্র রায়, সহ-সভাপতি রিপনুল হাসান ও মাসুদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৫
জেডএ/এমজেএফ