ঢাকা: পরিবেশ দূষণকারী প্লাস্টিক কারখানায় বাধ্যতামূলকভাবে তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) স্থাপন করতে হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ১১তম আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক মেলা-২০১৬’র উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, পরিবেশবান্ধব সবুজ শিল্পায়নের লক্ষ্য অর্জনে যেসব কারখানায় পরিবেশ দূষণকারী বর্জ্য উৎপাদিত হয় তাতে বাধ্যতামূলকভাবে ইটিপি স্থাপন করতে হবে। পরিবেশ ও জীব বৈচিত্র্য ধ্বংসকারী শিল্পায়নে সরকারের সমর্থন ছিল না, আগামীতেও থাকবেও না।
তবে পরিবেশবান্ধব যেকোনো শিল্প স্থাপনে সরকারের সমর্থন থাকবে বলে জানান তিনি।
শিল্পনীতিতে নতুন খাত সংযুক্তিতে সহায়তার আশ্বাস দিয়ে আমির হোসেন আমু বলেন, প্লাস্টিক পণ্যের বৈচিত্র্যকরণ ও মূল্য সংযোজনের বিরাট সুযোগ রয়েছে। উদীয়মান শিল্প হিসেবে পণ্য বহুমুখীকরণে এ শিল্পকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।

এ সময় ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেন, প্লাস্টিক পুনরায় ব্যবহার যোগ্য পণ্য। অনেক দিন টেকেও। কিন্তু দেশে পাটজাত আইন করতে প্লাস্টিক প্যাকেজিং সম্পর্কে ভুল বোঝানো হয়েছে।
ছোট এ খাতকে বাঁচাতে প্লাস্টিকের শুল্কমুক্ত কাঁচামাল আমদানি, মূসক বিভাগের হয়রানি বন্ধ ও যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্যাকেজিং আইন করার আহ্বান জানান এই ব্যবসায়ী নেতা।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- এশিয়ান প্লাস্টিক ফোরামের মহাসচিব কালাম চ্যাং, চ্যান চাও ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক জুডি ওয়াং, বিপিজিএমইএ সভাপতি জসিম উদ্দিন, সিনিয়র সহ সভাপতি গিয়াস উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
চার দিনব্যাপী এই মেলায় বাংলাদেশসহ ১৩টি দেশের তিন শতাধিক প্লাস্টিক পণ্য প্যাকেজিং ও প্রিন্টিং সামগ্রী, যন্ত্রপাতি এবং প্রযুক্তি উদ্ভাবনকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। মেলার পাশাপাশি এশিয়া প্লাস্টিক ফোরামের ২৫তম কাউন্সিল সভা ও বাংলাদেশ প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমস্যা ও সম্ভাবনা শীর্ষক দু’টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৬
আরইউ/আরএইচএস/আইএ