ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে অনিয়মের অভিযোগ  

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৩
কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে অনিয়মের অভিযোগ  

ময়মনসিংহ: গুচ্ছভুক্ত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সপ্তম ধাপের শূন্য আসনে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে অনিয়ম ও অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছে।  

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে প্রকাশিত ফলাফলে মেধাতালিকায় পেছনে থাকা অনেকেই ভর্তির জন্য বিবেচিত হলেও সামনে থেকে ভর্তির সুযোগ পাননি অনেকে।

এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।  

তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।  

তারা বলেন, যারা সুযোগ পাননি হয় তো তারা স্বাক্ষর করেননি অথবা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেননি। ফলে এমনটা হয়েছে, এখানে আমাদের কোনো গাফিলতি ছিল না।

তবে কোনো শিক্ষার্থী যদি চ্যালেঞ্জ করতে চান, তাহলে গুচ্ছের নিয়ম অনুযায়ী দুই হাজার টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে আবেদন করতে হবে।

কিন্তু গুচ্ছ ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে সব ধরনের শর্ত পূরণ করে সশরীরে উপস্থিত থেকে অ্যাডমিট কার্ডের ফটোকপি এবং উপস্থিত খাতায় স্বাক্ষর দেওয়া সত্ত্বেও ভর্তির সুযোগ পাননি বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী।  

বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে এ ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত ও পুনরায় ফলাফল প্রকাশের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ভুক্তোভোগীরা।

এসময় মেধা তালিকায় ১০৬৮ সিরিয়ালে থাকা মো. মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, বি ইউনিটে ১২৯২ পর্যন্ত নিয়েছে। সব শর্ত পূরণ করা হলেও আমাকে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়নি। এটা রীতিমতো জুলুম ও অধিকার লঙ্ঘন। আমি আমার ন্যায্য অধিকার ফিরে চাই।

রায়হান রাসেল বলেন, গুচ্ছ মেধাতালিকায় বি ইউনিটে আমার পজিশন ছিল ১১৮১। আমার সাজেক্ট পছন্দের তালিকায় ফোকলোর বিভাগ ছিল। অথচ মেধাতালিকায় আমার পেছনে ১২৯২ মেধাক্রমে ফোকলোর বিভাগ পেলেও আমাকে কোনো বিভাগে মনোনীত করা হয়নি। আমি রিপোর্টিংয়ের সময় সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি।  

সি ইউনিটের ৬৬১ মেধা তালিকায় থাকা উদয় হাসান রাজ বলেন, আমার সঙ্গে অবিচার করা হয়েছে। সব শর্ত পূরণ করা সত্ত্বেও আমাকে ভর্তির সুযোগ না দিয়ে আমার পরে মেরিটে থাকা অনেককেই ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আমি আবার ফলাফল প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীর বলেন, যথা নিয়মেই ভর্তির কাজ চলছে। এতে কোনো অনিয়ম হয়নি। কিন্তু একটি পক্ষ বিষয়টি নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।

ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে কোনো ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর যদি সংশয় বা অভিযোগ থাকে, তাহলে গুচ্ছের নিয়ম অনুযায়ী ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে আবেদন করতে পারবেন। এতে যোগ্য হলে অবশ্যই ভর্তির সুযোগ পাবেন, জানান তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।