ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণসহ ১১ দাবি 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২০ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২৩
ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণসহ ১১ দাবি  ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবি জানিয়েছে ইসলামী শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশ নামের একটি সংগঠন।

শনিবার (১৫ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে আয়োজিত এক সেমিনারে সংগঠনটির নেতারা এসব দাবি জানান।

তাদের দাবিগুলো হলো-

(১) মাদরাসা ইবতেদায়ী স্তরকে জাতীয়করণের আওতায় নেওয়া।

(২) গত ২০১৯ সালের ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষরিত ইবতেদায়ী নীতিমালা অবিলম্বে বাস্তবায়ন করা ৷

(৩) দেশের ৯১ শতাংশ মুসলিম ও ৭ শতাংশ বিভিন্ন ধর্মে বিশ্বাসী তথা শতভাগ মানুষের ইমান, আকিদা, দেশপ্রেমের মানসিকতা গড়ে তোলার জন্য শিক্ষাক্রমকে সংশোধন করা, যাতে শিক্ষার্থীগণ ইমান- আকিদা ও বিশ্বাস নিয়ে গড়ে উঠে।

(৪) স্বতন্ত্র ও সংযুক্ত ইবতেদায়ী মাদরাসাগুলোকে প্রাইমারির মতো সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা।

(৫) নতুন ইবতেদায়ী মাদরাসা মঞ্জুরির স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়া।

(৬) ইবতেদায়ী স্তরের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য পি.টি.আই এর আদলে প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা।

(৭) ইবতেদায়ী শিক্ষকদের প্রাইমারি স্কুলের মতো বেতন কাঠামো নির্ধারণ করা।

(৮) মঞ্জুরিপ্রাপ্ত বর্তমানে বিলুপ্ত ১৬ হাজারের অধিক স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা সহজ শর্তে পুনর্জীবিত করা।

(৯) বেসরকারি প্রাইমারি ও এনজিও স্কুলের মতো স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাগুলোকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোড নাম্বার দিয়ে স্বনামে পরীক্ষাদানের সুযোগ ও বিনামূল্যে বই সরবরাহ করা।

(১০) প্রাইমারি স্কুলের প্রাক-প্রাথমিকের মতো ইবতেদায়ী মাদরাসায় প্রাক-ইবতেদায়ী শ্রেণী চালু করা।

(১১) প্রাইমারি স্কুলের মতো ইবতেদায়ী স্তরের জন্য অবকাঠামো ও শিক্ষা উপকরণ সরবরাহ নিশ্চিত করা।

ইসলামী শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশের সভাপতি ড. এ কে এম মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব উপাধ্যক্ষ মো. আবদুর রহমানের পরিচালনায় সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আঞ্জুমান আল ইসলাহ বাংলাদেশের সভাপতি আল্লামা হুসামুদ্দিন চৌধুরী ফুলতলী।  

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লার গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হানিফ খান।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করতেই স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাগুলোকে জাতীয়করণ ও শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার দিতে হবে। যা বাংলাদেশের সাংবিধানিক অধিকার ছাড়াও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এর বাস্তবায়ন করা। স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসার শিক্ষকদের বেতন-ভাতা প্রদানে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির পরেও প্রায় ৯ হাজার প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪৫ হাজার শিক্ষক বিনা বেতনে বহু বছর ধরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২৩
এসসি/এসএএইচ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।