ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

অনলাইন ক্লাস প্রত্যাখ্যান করলেন জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০২৪
অনলাইন ক্লাস প্রত্যাখ্যান করলেন জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

জবি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) অনলাইন ক্লাস প্রত্যাখ্যান করে সশরীরে ক্লাস নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।  

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮তম সিন্ডিকেট সভায় অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে তা প্রত্যাখ্যান করতে দেখা যায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।

গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহ নিস্তার জাহান কবির ফেসবুকে লেখেন, ক্লাস অবশ্যই শ্রেণি কক্ষে হওয়া উচিত। অনলাইন-এ নয়। সামনা-সামনি। শিক্ষার্থীদের সামনে দাঁড়াতে লজ্জা পান? মানের ভয়, প্রাণের ভয়? আহা রে! বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মুখ না দেখে ক্লাস করবো না। নো, অনলাইন ক্লাস!

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেখা যায়, বয়কট অনলাইন ক্লাসসহ বিভিন্ন বিভাগের ব্যাচের শিক্ষার্থীরা প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অনলাইন ক্লাস বয়কটের ঘোষণা দিচ্ছেন।

ফেসবুকে নীলাভ নাইম নামে এক জবি শিক্ষার্থী লেখেন, ‘কোন যুক্তিতে অনলাইন ক্লাস হবে? জবির শিক্ষকেরা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পাশে না থাকায়, এখন তাদের অফলাইন ক্লাসে স্টুডেন্টদের ফেস (মুখোমুখি) করার সৎ সাহস হচ্ছে না। ’

মো. রাশেদ রানা নামে আরেক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘করোনা চলিতেছে নাকি, যে অনলাইনে ক্লাস হবে? নাকি দেশে হরতাল চলছে যে শিক্ষকরা আসতে পারবে না। আমাদের হল মুক্ত, নতুন ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন, পদত্যাগের আন্দোলন হবে, এ জন্য শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে আসতে দিবে না। এসব মুলা আর জবিয়ানরা খাবে না। ’ 

তৈমুর মবিন নামে অপর শিক্ষার্থী ফেসবুকে লিখেছেন, জবিতে অতি দ্রুতই  অফলাইন ক্লাস চালুর দাবি জানাচ্ছি। এতদিন পর অনলাইনে ক্লাস কেন?

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক মাসুদ রানা বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা না করে অনলাইন ক্লাসের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত বর্জন করলাম। ’

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা অনলাইন ক্লাস প্রত্যাখ্যান করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন।  

এ বিষয়ে তাফহিম রাফি বলেন, ‘ভিসি ও প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ, হল মুক্ত ও অন্যান্য ন্যায্য দাবিগুলো আদায় না হওয়া পর্যন্ত, আমরা সব ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করলাম। যে দিন আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকারগুলো ফিরে পাব, সেদিন আমরা ফিরে যাব আমাদের ক্লাসরুমে। ’ 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বাংলানিউজকে বলেন, ‘শুধু আমরা না, কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন ক্লাস নেবে। আর আগে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হোক, তারপর সিদ্ধান্ত নেব। তখন আমরা অনলাইন ক্লাস থেকে অফলাইনে চলে যাব। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০২৪
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।