ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ৪ কাউন্সিলর প্রার্থী, বাতিল ৩

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৩ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২৩
প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ৪ কাউন্সিলর প্রার্থী, বাতিল ৩

খুলনা:  খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে শুনানির প্রথম দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন চার কাউন্সিলর প্রার্থী। আর বাতিল হয়েছে তিনজন কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়ন।

সোমবার (২২ মে) বিকেলে সাত প্রার্থীর আপিল শুনানি করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী।

বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে ১৬ জন প্রার্থী আপিল করেছেন। যার মধ্যে আজ সোমবার প্রথম দিনে ৭ প্রার্থীর আপিলের শুনানি করা হয়। আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন সংরক্ষিত ১০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মোসা. মাসুদা খানম, সংরক্ষিত ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী নাছিমা আক্তার, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. অহিদুল ইসলাম ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. দেলোয়ার হোসেন মাতব্বর।

এদিকে আপিলেও প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. জাহিদুল ইসলাম, ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী জামান মোল্লা ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আমিনুল্লাহ বাহারের।

মঙ্গলবার (২৩ মে) বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে চার মেয়র প্রার্থীসহ ৯ জনের আপিল শুনানি করা হবে। তারা হলেন- জাকের পার্টির মেয়র প্রার্থী এসএম সাব্বির হোসেন, স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আল আমিন মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী, এসএম শফিকুর রহমান ও সৈয়দ কামরুল ইসলাম এবং ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সৈয়দ হুমায়ুন কবির, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. ইউসুফ আলী খান, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. জাকির হোসেন ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মো. শমশের আলী মিন্টু।

খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) ও স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, সোমবার আপিল শুনানির প্রথম দিনে চার কাউন্সিলর প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। আর তিনজনের আপিল নামঞ্জুর করেছেন। মঙ্গলবার শেষ দিনে আরও ৯ প্রার্থীর আপিল শুনানি করবেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ মে কেসিসি নির্বাচনে মেয়র পদে ৭ জন, সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৯ জনসহ মোট ১৯৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। গত ১৮ মে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে চার মেয়র প্রার্থীসহ ১৮ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন। রোববার (২১ মে) পর্যন্ত ১৮ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৫ জন প্রার্থিতা ফিরে পেতে এবং একজনের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগে তার বৈধতার বিরুদ্ধে অপর এক প্রার্থী আপিল করেন। শুনানির প্রথম দিনে আপিলে চার প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়ায় সোমবার (২২ মে) পর্যন্ত ৩ জন মেয়র প্রার্থী, ৩৯ জন সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী ও ১৩৯ জন সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীসহ মোট ১৮১ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে।

কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন বলেন, আপিল শুনানি শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর কতজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ এবং কতজনের বাতিল হবে তা জানানো যাবে।

উল্লেখ্য এবারের কেসিসি নির্বাচনে মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার। ভোট কেন্দ্র ২৮৯টি এবং ভোট কক্ষ থাকবে এক হাজার ৭৩২টি।   আগামী ২৫ মে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ২৬ মে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে এবং ১২ জুন ভোটগ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২৩
এমআরএম/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।