ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

নির্বাচন একটি খেলা, ভালো না খেললে জেতার প্রত্যাশা নয়: সিইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২৩
নির্বাচন একটি খেলা, ভালো না খেললে জেতার প্রত্যাশা নয়: সিইসি

ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন একটি খেলা, ভালো না খেললে জেতার প্রত্যাশা করা যাবে না। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনের সভাকক্ষে তৃণমূল বিএনপির সঙ্গে আয়োজিত এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

সিইসি বলেন, আপনারা জানেন, ভোটের সময় সরকার ক্ষমতায় থাকবে। অনেকে দুঃশ্চিন্তায় থাকে সরকার নিরপেক্ষ থাকবে কি না। তবে সাংবিধানিকভাবেই সরকার নিরপেক্ষ থাকতে বাধ্য। তাই নির্বাচন আমি কতটা শান্তিপূর্ণ করতে পারব তা সরকারের ওপর নির্ভর করবে। সাংবিধানিকভাবেই সরকার নির্বাচনে সহায়তা করতে বাধ্য। সরকারের যে সহায়তা, তার ওপরে আমাদের ব্যাপকভাবে নির্ভর করতে হবে। সরকার বলতে আমরা যেটা বুঝি - জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন। ভোটে লার্জলি (বড় পরিসরে) আপনাকে ডিপেন্ড (নির্ভর) করতে হবে জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর।

রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের (রাজনৈতিক দল) দায়িত্ব নিয়ে বলব, ইটস এ গেম, ইফ ইউ ডু নট প্লে ওয়েল, তাহলে জেতার প্রত্যাশা করবেন না। আপনাদের সবাইকে বলছি, যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তাদের অবশ্যই ইলেকশন এজেন্ট সেখানে থাকতে হবে। আপনাদের পক্ষ থেকে সহায়তা লাগবে। কারণ রাজনীতিবিদদের অভিজ্ঞতা বেশি। কী করে রাজনীতির মাঠে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হয়, কীভাবে প্রতিদ্বন্দীদের সঙ্গে আচরণ করতে হয়, সেই অভিজ্ঞতা আছে।  

সিইসি বলেন, আপনাদের বলছি, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করব। কিন্তু প্রতিটি বুথে, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তাদের কিন্তু এজেন্ট থাকবে। আমি দেখেছি, এজেন্ট যদি আপনারা ঠিকভাবে নিয়োগ দিতে পারেন, এজেন্ট যদি সাহসী ও অনুগত হয়, তিনি যদি শক্ত হয়ে দাঁড়ান, তাহলে আরেকজনের পক্ষে, আপনার বিপক্ষে অনাচার ও কারচুপি করা কঠিন হবে। সেজন্য বলব যারা প্রার্থী হবেন, তারা যেন শক্তিশালী এজেন্ট দেন। আমরা দেখেছি, অনেক প্রার্থীর এজেন্ট একেবারেই থাকে না। অনেক প্রার্থী এজেন্ট না দিয়েও বলেন তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা আমাদের নলেজে আসতে হবে, আমরা ব্যবস্থা নেব।

সাবেক এ আইন সচিব বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ফলে অন্তর্ভুক্তিমূলক শব্দটি চলে গেছে। ভোট যদি এক পার্সেন্ট পড়ে... মোট দুই লাখ ভোটার, তার মধ্যে একজন ১৫০টি ভোট পেয়েছেন, অন্যজন ৫০টি পেয়েছেন। তাহলে যিনি ১৫০ পাবেন, তিনি জিতে যাবেন। দিস ইজ দ্য ল।  আমি ল সৃষ্টি করিনি। আমাদের সংবিধান রক্ষা করতে হবে।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ভোট বিমুখতা আপনারা (রাজনৈতিক দল) তৈরি করেছেন, আমরা করিনি। আমরা সামান্য একটা চাকরি করতাম, মাসে মাসে বেতন পেতাম। রাজনীতি কী, এত বড় চিন্তা ও সামর্থ্য আমার মাথায় ছিল না। আমার জ্ঞান অত্যন্ত সীমিত। মানুষকে ভোটকেন্দ্রে নিতে আমাদের প্রচারণা থাকবে। প্রার্থীরা ভোটারের যতটা নিকটে যেতে পারবেন, আমরা পারব না।  আপনারা যে আবেদন করতে পারবেন, সেটা আমরা পারব না।

বৈঠকে সিইসির সঙ্গে অন্য নির্বাচন কমিশনার, ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন সমশের মবিন চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের ১৮ সদস্যে অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২৩
ইইউডি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।