ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

পাঁচ বছরে এমপি বাহারের সম্পদ বেড়েছে তিনগুণ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২৩
পাঁচ বছরে এমপি বাহারের সম্পদ বেড়েছে তিনগুণ

কুমিল্লা: পাঁচ বছরে কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও নৌকার এবারের প্রার্থী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের সম্পদ বেড়েছে প্রায় তিনগুণ।  

২০১৮ সালের নির্বাচনী হলফনামায় তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ উল্লেখ করা হয়, নয় কোটি ৬৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।

২০২৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ কোটি ৮২ লাখ ৭০ হাজারে। এ পাঁচ বছরে তার সম্পত্তি বেড়েছে ১৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকার।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া বাহারের হলফনামা থেকে জানা গেছে, এ প্রার্থীর বাৎসরিক আয় আট কোটি ৩৯ লাখ ১৮ হাজার ৩২৫ টাকা। তার মধ্যে সংসদ সদস্য হিসেবে সম্মানী ভাতা পান ২৩ লাখ ১১ হাজার ৩২৫ টাকা। বাসা ভাড়া থেকে ১৮ লাখ ২০ হাজার টাকা। এছাড়া এমপি বাহারের অন্যান্য লিমিটেড কোম্পানি থেকে আয় ৩০ লাখ টাকা।  

অপরদিকে এমপি বাহারের নিজ নামে নগদ টাকা আছে ছয় লাখ ৭ হাজার ৯০ টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে দুই কোটি ৪৮ লাখ ৭২ হাজার ৯১০ টাকা। নাইস পাওয়ার অ্যান্ড আইটি লিমিটেডে আছে ১৫ লাখ টাকা, সোনালী সুইটস লিমিটেডে আছে ২ কোটি ২৭ লাখ টাকা, নাসুয়া অ্যাসোসিয়েট লিমিটেডে আছে ১২ লাখ ৫০ হাজার, মাইন্ড মুভবার লিমিটেডে আছে ৫ লাখ, এ সিক্স লিমিটেডে আছে ৭ লাখ ৫০ হাজার, এমবি টেক্সটাইল অ্যান্ড ফ্যাক্টরি লিমিটেডে আছে ১০ লাখ, গোমতী ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডে আছে ১০ লাখ।  

এছাড়া ৮৮ লাখ ও ৯০ লাখ টাকার আছে দুটি জিপ গাড়ি। তার স্বর্ণসহ অন্যান্য মূল্যবান মালপত্র আছে ৬০ লাখ টাকার। ইলেকট্রিক সামগ্রী আছে আড়াই লাখ টাকার। আসবাবপত্র আছে আড়াই লাখ টাকার। দুই লাখ টাকার আছে রিভলবার ও শট গান।

তিনবারের এ সংসদ সদস্যের স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে উত্তরায় প্লট ও কুমিল্লা হাউজিং স্টেট এলাকায় আছে ৪৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকার সম্পত্তি। কুমিল্লা কান্দিরপাড়ে আছে ৩৫ লাখ টাকার টাউনহল সুপার মার্কেট। মুন্সেফ বাড়িতে আছে ২০ লাখ টাকার বাণিজ্যিক দালান। এছাড়া ১ কোটি ৯৮ লাখ ৮০ হাজার টাকার বাড়ি আছে কুমিল্লার মুন্সেফবাড়ি এলাকায়। ঠিকাদারি মালামাল ও ব্যবসায়িক মূলধন আছে ১৮ কোটি ১০ লাখ ৬৫ হাজার টাকার।

এছাড়াও মনোহরপুর এলাকায় যৌথ মালিকানায় রয়েছে ১৯ কোটি ৭৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার বাণিজ্যিক ভবন। একটি ব্যাংকের অগ্রিম ভাড়া হিসেবে জমা আছে ১৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা।  

২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় উল্লেখ ছিল, ওই সময়ে তার বাৎসরিক আয় ছিল তিন কোটি ৪১ লাখ ২৬ হাজার ৬৫০ টাকা। ওই বছর এ প্রার্থীর অস্থাবর সম্পত্তি ছিল সাত কোটি ৫৮ লাখ ৪০ হাজার ৭৮১ টাকার। তখন ৮৮ লাখ টাকার একটি গাড়ি ছিল। পাঁচ বছর আগে ছিল ৬০ হাজার টাকার স্বর্ণালঙ্কার। ২০১৮ সালে তার শেয়ার ছিল নাইস পাওয়ার অ্যান্ড আইটি সলিউশন লিমিটেডে ১৫ লাখ, সোনালী সুইটস লিমিটেডে ২৭ লাখ, নাসুয়া অ্যাসোসিয়েট লিমিটেডে ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
 
এফডিআর ছিল ৩৫ লাখ টাকা। ২০১৮ সালে এ আওয়ামী লীগ নেতার স্থাবর সম্পত্তি ছিল এক কোটি ৮৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকার। কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় এলাকার টাউন হল সুপার মার্কেটের দাম ২০১৮ সালে ৬০ লাখ টাকা উল্লেখ থাকলেও এ বছর তা উল্লেখ করা হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা। যৌথ মালিকানাধীন সোনালী স্কয়ারের দাম ২০১৮ সালে ছিল সাত কোটি ৩৮ লাখ টাকা, যা ২০২৩ সালে এসে ১৯ কোটি ৭৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা উল্লেখ করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২৩
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।