ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

পটুয়াখালী পৌরসভায় আবারও মেয়র নির্বাচিত মহিউদ্দিন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২১ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২৪
পটুয়াখালী পৌরসভায় আবারও মেয়র নির্বাচিত মহিউদ্দিন

পটুয়াখালী: উৎসব মুখর পরিবেশে পটুয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। সন্ধ্যায় বেসরকারি ফলাফলে ১১ হাজারেরও বেশি ভোট পেয়ে পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হয়েছে বর্তমান মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি পেয়েছেন ২১ হাজার ৭৪৮ ভোট।  

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শফিকুল ইসলাম পেয়েছেন ১০ হাজার ৫৫২ ভোট। নির্বাচনের প্রায় ৬৫ শতাংশ ভোট পরেছে। এবার ছয়জন মেয়র প্রার্থী, ৪১ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ও ১৫ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।

শনিবার (৯ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালী জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা খান আবি শাহানুর খান।  

এর আগে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতহীন ভাবে চলছে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সকাল থেকেই ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের সরব উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। এর মধ্যে নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।

এছাড়াও কোনো কোনো কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বেশি হওয়ায়, নির্ধারিত সময়ের পরেও ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কোথাও কোনো সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়নি। স্বাচ্ছন্দ্যে ভোট দিতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেন ভোটাররা।  

দুপুরে পৌর এলাকার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন বিভাগীয় কমিশনার শওকত আলী, ডিআইজি জামিল হাসানসহ র‍্যাবের সিইও, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন, জেলা প্রশাসক নূর কুতুবুল আলম, পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার খান আবি শাহানুর খান এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মিজানুর রহমান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জসীমসহ সংশ্লিষ্টরা। এ সময় তারা স্থানীয় ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময় পরবর্তী ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।  

পরে বিভাগীয় কমিশনারসহ উচ্চপর্যায়ে প্রশাসনিক দলটি জানান, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শেষেও নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা প্রতিরোধে প্রশাসন তৎপর থাকবে।

এদিকে কেন্দ্রে কেন্দ্রে ও সমগ্র শহরে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মাঠে ১৯ জন ম্যাজিস্ট্রেট, তিন প্লাটুন বিজিবি, চারটি র‍্যাব টিম, পুলিশের স্ট্রাইকিং ফোর্সসহ প্রতিটি কেন্দ্রে আটজন পুলিশ সদস্য এবং নয়জন আনসার সদস্য মোতায়েন ছিল। এছাড়াও গোয়েন্দা সংস্থা, সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্য নিয়োজিত ছিল।

বাংলাদেশ সময়: ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।