ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

দলগুলোর মতামত নেবে, সংলাপের প্রয়োজন দেখছে না নির্বাচন সংস্কার কমিশন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২৪
দলগুলোর মতামত নেবে, সংলাপের প্রয়োজন দেখছে না নির্বাচন সংস্কার কমিশন

ঢাকা: নির্বাচন সংস্কার বিষয়ক কমিশন প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, তারা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই সংস্কারের সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দেবেন। এক্ষেত্রে অংশীজনের সুস্পষ্ট মতামত ও প্রস্তাব তারা নেবেন।

তবে সংলাপে বসার প্রয়োজন দেখছেন না।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) নির্বাচন ভবনে কমিশনের ১২তম বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন।  

সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারকে দলগুলোর সঙ্গে বসবেন (সংলাপে) কি না প্রশ্ন করা হলে বলেন, আমাদের কাজটা হলো কারিগরি। সম্পূর্ণ টেকনিক্যাল। আমাদের সঙ্গে তাদের মতবিনিময়ের কিছু নেই। কারণ কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের এখতিয়ার আমাদের নেই। আমরা তাদের মতামত, সুপারিশগুলো পেতে চাই। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের যে সংলাপ হবে তা আমাদের এবং অন্য সংস্কার কমিশনের কাছে তাদের দেওয়া প্রস্তাবের ভিত্তিতে। আমরা তাদের কাছ থেকে সুস্পষ্ট মতামত, প্রস্তাব নেবো।

তারা (দলগুলো) না বসলে কি মতামত দেবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার মনে হয় না বসার দরকার আছে। এখানে সুস্পষ্ট ধারণাগুলো দরকার। আমরা জেনারেল স্টেটমেন্ট চাই না। সুস্পষ্ট মতামত চাই। দলগুলোর অভিজ্ঞতা বেশি। কাজেই সুস্পষ্ট মতামত পেতে চাই। সাধারণ বক্তব্য তো আমরা সবাই জানি।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, সুন্দর নির্বাচন উপহার দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের নয়। নির্বাচন ব্যবস্থা বা নির্বাচন কার্যক্রম সুন্দরভাবে করার জন্য আমাদের কাজ হলো কিছু সুপারিশ করা। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমাদের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আমরা এর মধ্যেই সুপারিশ জমা দেব।

নির্বাচন কমিশন নিয়োগের জন্য সার্চ কমিটির প্রজ্ঞাপন হয়েছে। আপনারা সার্চ কমিটির সংস্কারের প্রস্তাব দিতে চেয়েছিলেন কিন্তু তার আগেই সরকার প্রজ্ঞাপন দিয়েছে- বিষয়টি সামনে আনলে ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, বর্তমানে নির্বাচন কমিশন প্রয়োজন। আর নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। সার্চ কমিটি তার নিজস্ব গতিতে কাজ করবে এবং আমরা আমাদের মত কাজ করবো। আমরা যে প্রস্তাবগুলো দেবো, সেই প্রস্তাবগুলো কিছু বাস্তবায়ন করবে সরকার এবং কিছু করবে নির্বাচন কমিশন। তাই সার্চ কমিটির সাথে আমাদের সম্পৃক্ততা নেই।

তিনি বলেন, আমরা এ পর্যন্ত ১২টি সভা করেছি। এগুলো ফরমাল, ইনফরমালি আরো আলাপ আলোচনা করেছি। যে কাজটা করছি, এখন ছাত্র হয়ে গেছি। অনেক আইন, বিধি বিধান পর্যালোচনা করছি। এর ভিত্তিতে আমরা যে ইস্যুগুলো চিহ্নিত করবো, তার ভিত্তিতে বিভিন্ন অংশীজনের মতামত নেবো। মতামত নেওয়ার পর আমরা সরকারের সুপারিশ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হবো। প্রবাসী ভোটাররা যেন ভোট দিতে পারে সেই বিষয়েও আমরা আলোচনা করেছি।

এর আগে ১১টি বৈঠক হলেও সাত সদস্যের সংস্কার কমিশনের ছাত্র প্রতিনিধি যোগ হলো বৃহস্পতিবার। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদিকা আরমান সদস্য হওয়ায় তাকে ধন্যবাদ দেন বদিউল আলম মজুমদার।

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে সংস্কার কমিশনের সদস্য ড. তোফায়েল আহমেদ, জেসমিন টুলী, ড. মো. আব্দুল আলীম, জাহেদ উর রহমান, মীর নাদিয়া নিভিন, মোহাম্মদ সাদেক ফেরদৌস, ইসির সিস্টেম ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন এবং উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২৪
ইইউডি/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।