আগামী ৩০ জুলাই রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে নির্বাচনপূর্ব সময়ে অর্থাৎ নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রকার প্রকল্প অনুমোদন বা অর্থ ছাড় না দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।
নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার জারি করা এক পরিপত্রে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়েছে, নির্বাচনপূর্ব সময়ে কোনো সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে রাজস্ব বা তহবিলভুক্ত কোনো প্রকল্পের অনুমোদন, ঘোষণা বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কিংবা ফলক উন্মোচন করা যাবে না।
এদিকে নির্বাচনপূর্ব সময়ে কোনো সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, সরকারের মন্ত্রী, চিফ হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধীদলের নেতা, সংসদ উপনেতা, বিরোধীদলের উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, হুইপ, উপমন্ত্রী বা তাদের সম পদমর্যাদার কোনো ব্যক্তি, সংসদ সদস্য ও সিটি করপোরেশনের মেয়র) সরকারি বা আধা-সরকারি বা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে কোনো প্রকার অনুদান ঘোষণা বা বারদ্দ বা অর্থ অবমুক্ত করতে পারবেন না।
এছাড়া নির্বাচনপূর্ব সময়ে সিটি করপোরেশনের মেয়র বা কাউন্সিলর বা অন্য কোনো পদাধিকারী সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন এলাকায় উন্নয়মূলক কোনো প্রকল্প অনুমোদন বা ইতোপূর্বে অনুমোদিত কোনো প্রকল্পে অর্থ অবমুক্ত বা প্রদান করতে পারবেন না।
প্রকল্প অনুমোদন বা অর্থ ছাড় না করার বিষয়টি নিশ্চিতের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইতোমধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তাদেরও নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যার অনুলিপি মন্ত্রিপরিষদ, অর্থমন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব দফতরে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৮
ইইউডি/এএ
