ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

২৭ জুলাইয়ের পর তিন সিটিতে বহিরাগতদের অবস্থান নয়

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৮
২৭ জুলাইয়ের পর তিন সিটিতে বহিরাগতদের অবস্থান নয়

ঢাকা: তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে বহিরাগতদের ভোটার এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী ২৭ জুলাই দিবাগত রাত ১২টার আগে বহিরাগতদের নির্বাচনী এলাকা ছাড়তে হবে।

আগামী ৩০ জুলাই রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে। ভোটার ব্যতীত অন্য কোনো এলাকার বাসিন্দা করপোরেশনের সীমানার ভেতরে অবস্থান নিতে পারবেন না।

বহিরাগতদের ভোট এলাকা ছাড়ার নির্দেশনা ইতিমধ্যে প্রচার করার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে বেশকিছু বিষয় নিশ্চিত করার জন্যও বলেছে সংস্থাটি।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বগিরাগতদের এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও যারা কর্মজীবী তাদের এলাকায় অবস্থান করতে কোনো অসুবিধা হবে না। তবে বাইরে চলাফেরার জন্য প্রয়োজন হলে তাদের কাজের প্রমাণপত্র দেখাতে হবে। একই সঙ্গে জরুরি প্রয়োজনের ক্ষেত্রেও এ নির্দেশনা শিথিলযোগ্য হবে। ইসির নির্দেশনাটি ৩১ জুলাই পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। অর্থাৎ বহিরাগতরা ১ আগস্ট থেকে আবার নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবেন।

এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, নির্বাচন আইন অনুযায়ী সকল নির্বাচনেই বহিরাগতদের এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে কমিশন শুধু সময় বেঁধে দেয়। ভোটের দিন ৩০ জুলাই (সোমবার) সাধারণ ছুটি থাকবে। আর ২৭ জুলাই শুক্রবার। এক্ষেত্রে ২৮ ও ২৯ জুলাই (শনিবার ও রোববার) অনেককেই ‍অফিস করতে হবে। এক্ষেত্রে তাদের পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে। কর্মজীবীদের এলাকায় থাকতে অসুবিধা নেই। এছাড়াও জরুরি প্রয়োজনের ক্ষেত্রেও নির্বাচনী এলাকায় থাকতে অসুবিধা নেই।

বহিরাগতদের অবস্থানের নির্দেশনা এজন্যই দেওয়া হয়, যেন অন্য এলাকার লোক এসে কোনো অনিয়মে জড়িয়ে যেতে না পারে। তার অর্থ এই নয় যে, মানুষ তার প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ করবে না।

রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্বাচন পরিচালনায় দায়িত্বরত কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রার্থীর সুনির্দিষ্ট কোনো লিখিত অভিযোগ এলে এবং তা নিয়ে অসন্তুষ্টি হলে তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে হবে।

ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যাতে যাওয়া-আসা করতে পারেন, সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভ্রাম্যমাণ টিমগুলোকে সার্বক্ষণিক টহলে রাখতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রগুলো যাতে যাতে কোনো প্রকার অনিয়ম না হয়, সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সদা সতর্ক থাকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিতে হবে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে।

ভোটগ্রহণ নির্বিঘ্নে এবং শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে মোটরযান বন্ধের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে প্রচারের জন্যও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে মটরসাইকেল চলাচল ২৮ জুলাই মধ্যরাত থেকে ৩১ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত সম্পূর্ণরুপে বন্ধ থাকবে। অন্যান্য মটরযান বন্ধ থাকবে ২৯ জুলাই মধ্যরাত থেকে ৩০ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত।

ইসি কর্তৃক নির্দিষ্ট সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ ছাড়াও রিটার্নিং কর্মকর্তাকে প্রয়োজনে অতিরিক্ত মেজিস্ট্রেট নিয়োগের ব্যবস্থাও নিতে বলা হয়েছে। আর ভোটগ্রহণ শুরুর আধাঘণ্টা পূর্বে অবশ্যই প্রার্থী বা তাদের নির্বাচনী এজেন্ট বা পোলিং এজেন্টকে খালি ব্যালট বাক্স দেখিয়ে সিল করার পর ভোটগ্রহণ শুরু করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৮
ইইউডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।