ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

বিতর্কিত-দলীয়দের ভোট কর্মকর্তা করা যাবে না

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১২ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৮
বিতর্কিত-দলীয়দের ভোট কর্মকর্তা করা যাবে না নির্বাচন কমিশন।

ঢাকা: আসন্ন রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে যথাযথ সতর্কতা অবলম্বনের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বিতর্কিত, দলীয় কোনো ব্যক্তি অথবা বিতর্কিত প্রতিষ্ঠানের লোকবল যেনো কোনোভাবেই নিয়োগ না পান, তা নিশ্চিত করতে বলেছে সংস্থাটি। একইসঙ্গে দায়িত্ববান এবং মানসিক ও শারীরিকভাবে সামর্থ্য ব্যক্তিকেই ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


 
ইসির যুগ্ম সচিব (চলতি দায়িত্ব) ফরহাদ আহাম্মদ খান স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ ছাড়াও পোলিং এজেন্ট ও নির্বাচনী এজেন্ট নিয়োগের বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
 
ভোট কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী যেনো নিয়োগ না পান এবং একই ব্যক্তি যেনো একাধিক ভোটকেন্দ্রে নিয়োজিত না হন সে দিকে সজাগ থাকতেও বলেছে ইসি।
 
নির্দেশনায় প্রার্থী নির্বাচনের জন্য যোগ্য কোনো ব্যক্তিকেই কেবল নির্বাচনী এজেন্ট নিয়োগ করতে পারবেন বলে উল্লেখ রয়েছে। আর এজেন্ট নিয়োগ না করলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিজেই এজেন্ট হিসেবে গণ্য হবেন। এছাড়া প্রার্থী নির্বাচনের আগে তার এজেন্ট বাতিল করে নতুন এজেন্ট নিয়োগ করতে পারবেন।

পোলিং এজেন্ট হিসেবে প্রার্থীকে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট এলাকার ভোটারদের মধ্যে কাউকে বেছে নিতে হবে। নির্বাচনী এজেন্ট ভোটগ্রহণ শুরুর আগে প্রত্যেক ভোটকক্ষের জন্য একজন করে পোলিং এজেন্ট নিয়োগ করবেন। পুলিং এজেন্টরা তাদের পরিচয়পত্র সব সময় ঝুলিয়ে রাখবেন এবং নির্ধারিত রঙের আর্ম ব্যান্ড পরবেন। কোনো অবস্থাতেই তারা ভোটকেন্দ্রে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।
 
নির্দেশনায় পোলিং এজেন্টকে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়া, ভোটকেন্দ্র থেকে জোর করে বের করে দেওয়া হলে তাকে সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং কর্মকর্তার, ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করার পরামর্শও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
 
এ বিষয়ে ফরহাদ আহাম্মদ খান বাংলানিউজকে বলেন, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে খুব বেশি সতর্ক থাকবে হবে। কেননা একটা নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য একজন অসাধু কর্মকর্তাই যথেষ্ট। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে।
 
আগামী ৩০ জুলাই তিন সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে নির্বাচনী প্রচার কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ২৮ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে প্রচার।
 
ম্যাজিস্ট্রেট থাকছে ৭০ এর অধিক:

নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে এবং আচরণবিধি লঙ্ঘন রোধ করতে নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে মাঠে নামিয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
 
রাজশাহী সিটি নির্বাচনের জন্য ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছেন। তারা নির্বাচনের পরের দিন পর্যন্ত কাজ করবেন। এছাড়া ২৮ জুলাই থেকে মাঠে থাকবেন আরও ২০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। একই সময় প্রতি তিন ওয়ার্ডের জন্য থাকবেন একজন করে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটও।
 
বরিশাল সিটিতে একই হারে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকছেন।
 
আর সিলেট সিটি করপোরেশনে এরই মধ্যে মাঠে রয়েছেন নয়জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ২৮ জুলাই থেকে থাকবেন আরও ১৮ জন। এ সময় প্রতি তিন ওয়ার্ডের জন্য একজন করে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ওই সিটিতেও নিয়োগ করা হবে।

নির্বাহী এবং বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়োগের জন্য ইতোমধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং আইন মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
 
ইসির অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আচরণবিধি প্রতিপালন এবং তাৎক্ষণিক অপরাধের বিচারকাজের জন্য আমরা সব সময় নির্বাহী এবং বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করে থাকি। তিন সিটি নির্বাচনেও ব্যাপক সংখ্যাক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত করা হচ্ছে। কোনো অনিয়মের প্রমাণ পেলে তারা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেবেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১৮
ইইউডি/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।