ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

‘ইতিহাসের সবচেয়ে ন্যক্কারজনক ভোট হয়েছে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮
‘ইতিহাসের সবচেয়ে ন্যক্কারজনক ভোট হয়েছে’ মোস্তফা মহসীন মন্টু

ঢাকা: বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৪৭ বছরের ইতিহাসে এবারের মতো কারচুপি কোনোবারই হয়নি। সব মিলিয়ে ইতিহাসের সবচেয়ে ন্যক্কারজনক ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ও গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু।

রোববার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানীর আরামবাগে গণফোরামের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি  এ কথা বলেন।  

মোস্তফা মহসীন মন্টু বলেন, আমি ঢাকা-৭ আসনের নির্বাচনে গণফোরাম মনোনীত প্রার্থী।

কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, আমরা আমাদের ভোটকেন্দ্র থেকে উঠে আসতে বাধ্য হয়েছি। সকালে আমরা মাঠে নামার আগেই খবর পেয়েছিলাম, রাত ৩টা-৪টার সময় আওয়ামী লীগের নেতারা সকাল ৭টা পর্যন্ত তাদের পক্ষের ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ ভোট কাস্ট করে নেবে।

‘আমরা খবরটি অবান্তর মনে করে বিশ্বাস করিনি। আমরা ভেবেছিলাম একটি ভালো সভ্য রাষ্ট্রে এমনটা হতে পারে না। কেননা কোনো সভ্য জগতের রাত্রে চোরের মতো এভাবে ভোট চুরি হতে পারে না। যারা সুষ্ঠু ভোট পরিচালনা করছে তাদের মাধ্যমে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটতে পারে না। যারা সব সময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে, সেই সরকারের আমলে পাকিস্তানিদের মতো এরকম আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। ’ 

মন্টু আরো বলেন, আমার এলাকায় ১২২টি নির্বাচনী কেন্দ্র ও ৬২৩টি পোলিং বুথ। রাত একটা পর্যন্ত আমি আমার পোলিং এজেন্টদের সঙ্গে মিটিং করে বলেছি সামরিক বাহিনী মাঠে নেমেছে তারা তোমাদের নিরাপত্তা দেবে। কোনো ভয় নেই। সকালে আমি যখন ভোট দিতে বের হয়েছি ঢাকা-১০ আসনে, তখন আমি প্রথম খবর পেলাম কয়েকটি কেন্দ্রে আমাদের পোলিং এজেন্টদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা হচ্ছে। সেখানে যাওয়ার পথে আরেকটি কেন্দ্রে দেখলাম ভোটারদের দীর্ঘ লাইন। সেখানে থেমে জিজ্ঞাসা করার পর আমাকে জানানো হলো আমাদের কোনো পোলিং এজেন্ট নেই। তাদের বের করে দেওয়া হয়েছে।  

এটা আমাদের নির্বাচনের নিয়তি ছিল বলে মন্তব্য করে মন্টু আরো বলেন, হয়তো আমাদের নিয়তিতে এরকম নির্বাচন ছিল। এক পর্যায়ে আমি সেনাবাহিনীর ইউনিট-২ এর প্রধান মেজর আশরাফকে ফোন দিলাম। তাকে এসব অভিযোগ জানিয়ে আমি বলেছি, আমি অত্যন্ত দুঃখিত যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ সামরিক বাহিনীকে একটা সুষ্ঠু ভোট পরিচালনার জন্য মাঠে নামিয়েছিলাম। কিন্তু তারপরও আপনাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মর্যাদায় রাখতে পারলাম না। আমরা ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি আপনাদের মাঠে নামানোর জন্য।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮
এমএএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।