ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

নির্বাচনী দায়িত্বরতরা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০১৯
নির্বাচনী দায়িত্বরতরা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন নির্বাচন কমিশন ভবন

ঢাকা: যেকোনো নির্বাচন এলেই দায়িত্ব পড়ে সরকারি-বেসরকারিসহ সব চাকরিজীবীদের। দায়িত্বে থাকার কারণে এক্ষেত্রে প্রায় সবাই ভোট দিতে পারেন না। তবে এবার তাদের জন্য রয়েছে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা।
 

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে হলে কোনো চাকরিজীবীকে অবশ্যই নির্বাচনী দায়িত্বপ্রাপ্ত হতে হবে। এছাড়া তার দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকা বা ভোটকেন্দ্র যদি তার নিজের ভোটকেন্দ্রের বাইরে হয়, তবেই এই সুযোগ পাবেন।


 
এছাড়া যারা প্রবাসী বাংলাদেশি তাদের জন্যও এই সুযোগ বরাবরই থাকছে।
 
সুযোগটি নিতে হলে যথাযথ কারণ ও তার প্রমাণ দেখিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করতে হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা সেটি বিবেচনা করে ডাকযোগে ব্যালট পাঠাবেন। ভোট দেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আবার তা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ডাকযোগে ফেরত পাঠাবেন।
 
এ বিষয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে বলা হয়েছে- কোনো ব্যক্তি তিনি যে ভোটকেন্দ্রে ভোট দেওয়ার অধিকারী সে কেন্দ্র ছাড়া অন্যকোনো ভোটকেন্দ্রে নির্বাচন সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব পালনের জন্য নিযুক্ত থাকলে এবং বাংলাদেশি ভোটার হিসেবে বিদেশে অবস্থান করলে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
 
এক্ষেত্রে ‘সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আবেদনের ভিত্তিতে রিটার্নিং কর্মকর্তা তাদের কাছে ডাকযোগে পোস্টাল ব্যালট পাঠাবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা যাতে অগ্রিম ডাক মাশুল পরিশোধ না করে দেশের ও বিদেশের বিভিন্ন স্থানে পোস্টাল ব্যালট ডাকযোগে প্রেরণ করতে পারেন এবং ভোটাররাও যাতে ওই সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন তার নিশ্চিয়তা দেবে ডাক বিভাগ। ’
 
এ বিষয়ে ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আসন্ন রংপুর-৩ আসনের ভোটের জন্যও পোস্টাল ব্যালটে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ থাকছে। যদিও এই আসনটির পুরোটাই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।
 
এরইমধ্যে ডাক বিভাগকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনাও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইসির উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান নির্দেশনাটি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং রিটার্নিং কর্মকর্তাকে পাঠিয়েছেন।
 
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শূন্য ঘোষিত রংপুর-৩ আসনে আগামী ৫ অক্টোবর উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। পুরো নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে।

নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৯ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১১ সেপ্টেম্বর। আর প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৬ সেপ্টেম্বর।

রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আগামী ১২ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে আপিল গ্রহণ করা হবে। আপলি নিষ্পত্তি করা হবে ১৫ সেপ্টেম্বর (রোববার)।

এ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে রংপুরের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে নিয়োগ করা হয়েছে।

সাবেক সামরিক শাসক এইচএম এরশাদ গত ১৪ জুলাই চিকৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মার যান। এ অবস্থায় সংসদ সচিবালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) আ. ই. ম গোলাম কিবরিয়া ১৬ জুলাই (মঙ্গলবার) আসনটি শূন্য হওয়ার গেজেট প্রকাশ করেন। এরপর গত ১ সেপ্টেম্বর (রোববার) আসনটিতে ভোটগ্রহণের জন্য তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

রংপুর-৩ আসনটি সদর উপজেলা এবং ১ থেকে ৮ নম্বর ছাড়া রংপুর সিটি করপোরেশনের ৯ থেকে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৪২ হাজার ৭২ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২১ হাজার ৩১০ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ২০ হাজার ৭৬২ জন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৯
ইইউডি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।