ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ইমিগ্রেশন: চোখের আইরিশের তথ্য দেবে ইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
ইমিগ্রেশন: চোখের আইরিশের তথ্য দেবে ইসি

ঢাকা: দেশের বিমানবন্দরগুলোতে ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করতে আরও একধাপ সহায়তা বাড়াবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তথ্যভাণ্ডারে সংরক্ষিত নাগরিকের চোখের আইরিশের তথ্য দেওয়া হবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে।

ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, আগে যারা ভোটার হয়েছেন, তারা স্মার্টকার্ড নেওয়ার সময় চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি দিচ্ছে। আর বর্তমানে যারা ভোটার হচ্ছেন সবার চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি নেওয়া হচ্ছে।

দশ আঙুলের ছাপ তো রয়েছেই।

অনেকেরই আঙুলের ছাপ নষ্ট হয়ে যায়। তাই চোখের আইরিশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এয়ারপোর্টে কোনো অপরাধী ইমিগ্রেশনে গিয়ে আর ফাঁকি দিতে পারবে না। তবে এজন্য বিমানবন্দরগুলোতেও আইরিশ রিড করতে পারার মতো যন্ত্রও বসাতে হবে।

বর্তমানে ইমিগ্রেশনে পাসপোর্টে থাকা তথ্য মিলিয়ে দেখা ছাড়াও ফটো তুলে রাখেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এ বিষয়ে ইসির এনআইডি শাখা মহাপরিচাল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা জাতীয় নিরাপত্তায় ব্যক্তির পরিচয় যাচাইয়ে কোনো ছাড় দিচ্ছি না। সব ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার করছি। নাগরিকের চোখের আইরিশও নিচ্ছি। এগুলো ভবিষ্যতে আমরা এয়ারপোর্টে দেবো। সেখানে সহজেই তারা জেনে নিতে পারবেন ব্যক্তির পরিচয়।

তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনো আলোচনা তাদের সঙ্গে হয়নি। তবে আমরা সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। তারা চাইলে যেন দিতে পারি।

ইসির তথ্য ভাণ্ডার থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মোবাইল অপারেটরসহ সরকারি-বেসরকারি শতাধিক প্রতিষ্ঠান সেবা নিচ্ছে। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবেও আবেদন করে অনেকে অন্যের পরিচয় যাচাই করে নিচ্ছেন। তবে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানগুলো আঙুলের ছাপের মাধ্যমে পরিচয় জেনে নিতে পারছেন। কারও আঙুলের ছাপ মুছে গেলে সে ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত করা সময়সাপেক্ষ হয়ে যাচ্ছে। এজন্যই দু’হাতের দশ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবিও সংরক্ষণ করছে ইসি। আগে কেবল দুই হাতের চার আঙুলের ছাপ নেওয়া হতো।
২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা কার্যক্রম করে এটিএম শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন কমিশন। পরবর্তীতে ওই তালিকার ভিত্তিতে জাতীয় তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলে নাগরিকদের এনআইডি সরবরাহ করে ইসি।

এনআইডিকে বিশ্বমানের করতে হুদা কমিশন ২০১১ সালে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় হাতে নেয় স্মার্ট এনআইডির প্রকল্প। যার মাধ্যমেই বর্তমান কমিশন দশ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ নিচ্ছে। এছাড়া এই তথ্যভাণ্ডারে আছে ১১ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিকের তথ্যও। চাইলেই এরা আর ভোটার তালিকায় যুক্ত হতে বা এনআইডি সংগ্রহ করতে পারবে না।

বর্তমানে দেশে ভোটার সংখ্যা ১০ কোটি ৪২ লাখ। চলমান হালনাগাদ শেষে ভোটার সংখ্যা আরও বাড়বে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৯
ইইউডি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।