ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ডিসিসি ভোট: ফ্যাক্ট সেনাবাহিনীর শীতকালীন মহড়া

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৯
ডিসিসি ভোট: ফ্যাক্ট সেনাবাহিনীর শীতকালীন মহড়া

ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচন ২০২০ সালের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহেই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে একেবারে শেষের দিকেই ভোট নিতে চায় সংস্থাটি।

কর্মকর্তারা জানান, এই দুই সিটি ভোট পুরোপুরি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে সম্পন্ন করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আর ইভিএম পরিচালনায় সহায়তা নেওয়া হয় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে গঠিত টেকনিক্যাল টিমের।

যেখানে মূলত সেনাবাহিনীর সদস্যরাই দায়িত্ব পালন করেন।

জানুয়ারির প্রায় পুরোটা জুড়েই রয়েছে সেনাবাহিনীর শীতকালীন মহড়া। মহড়া চলাকালীন তাদের সহায়তা পাওয়া যাবে না। তাই মহড়া শেষ হওয়ার অপেক্ষাতেই থাকবে ইসি।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, মহড়া শেষ হবে একেবারে জানুয়ারির শেষে দিকে। আর ১ ফেব্রুয়ারিতে শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। তাই ভোটের জন্য ২৫ থেকে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে একটি দিন বেছে নেওয়া হতে পারে।

২০১৫ সালে ঢাকার দুই বিভক্ত সিটিতে প্রথমবার ভোট হয়েছিল ২৮ এপ্রিল, ওই দিনটি ছিল মঙ্গলবার। আর উত্তরের মেয়র আনিসুক হক মারা গেলে উপ-নির্বাচন হয়েছিল চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি, দিনটি ছিল বৃহস্পতিবার।

ইসি কর্মকর্তাদের অনেকে বলছেন, ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন জানুয়ারির শেষ বৃহস্পতিবার হতে পারে। শেষ বৃহস্পতিবার হচ্ছে ৩০ জানুয়ারি।

আর ৩১ জানুয়ারি শুক্রবার। চলমান হালনাগাদের ওপর দাবি-আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে এদিন। তাই আইনি জটিলতা এড়াতে এই দিনে ভোট করার সিদ্ধান্ত নাও নিতে পারে ইসি।

দুই সিটি নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র অনুযায়ী, মোট বুথ রয়েছে ১৪ হাজারের মতো। এক্ষেত্রে ইভিএম মেশিনের প্রয়োজন পড়বে ২০ হাজার।

প্রায় ৫০লাখ ভোটার এ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।

কর্মকর্তারা বলছেন, দুই সিটিতে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ২ হাজার ৬শটির মতো। এক্ষেত্রে প্রতি কেন্দ্রে একজন করে ইভিএম পরিচালনা টিমের সদস্য কাজ করলেও প্রয়োজন ২ হাজার ৬শ লোকবল। নির্বাচন কমিশনের এই লোকবল নেই। আবার সশস্ত্র বাহিনীও এই লোকবল মহড়া চলাকালীন দেবে না। কেননা, সেটা তাদের অবশ্য করণীয়। এ অবস্থায় জানুয়ারির শেষ সময় ছাড়া ভাবার উপায় নেই কমিশনের। অন্যথায় মার্চের দিকে যেতে হবে।

নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার বাস্তবায়ন করছে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ। এ বিভাগের অফিসার ইনচার্জ স্কোয়াড্রন লিডার কাজী আশিকুজ্জামান বলেন, ইভিএম পরিচালনায় আমাদের আত্মবিশ্বাস যথেষ্ট বেড়েছে। তাই পুরো নির্বাচনটাই এই যন্ত্রে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে পুরো নির্বাচন করতে আমাদের যে টেকনিক্যাল টিম প্রয়োজন, তার জন্য লোকবল নেই। এ কাজে প্রায় পুরোটাই আমাদের সহায়তা করে সশস্ত্র বাহিনী।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা জানায়, ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকার দুই সিটি ও চট্টগ্রাম সিটি কররোরেশন নির্বাচন একযোগে সম্পন্ন করা হয়েছিল।

সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী, করপোরেশনের মেয়াদ হচ্ছে প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। আর ভোটের আয়োজন করতে হবে মেয়াদপূর্তির পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে। সে অনুযায়ী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ১৩ মে, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ১৬ মে। আর চট্টগ্রাম সিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ৫ আগস্ট।

ইসি সচিব মো. আলমগীর জানান, জানুয়ারির শেষে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর মার্চে অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন। তবে কবে হবে ভোট, সে তারিখ এখনো নির্ধারণ হয়নি। এটি কমিশন বৈঠকে নির্ধারণ হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৯
ইইউডি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।