ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ডিসিসি ভোট: পদ ছাড়তে হবে মেয়রকে, কাউন্সিলরকে নয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯
ডিসিসি ভোট: পদ ছাড়তে হবে মেয়রকে, কাউন্সিলরকে নয়

ঢাকা: আসন্ন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসি) নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে বর্তমান মেয়র পদধারীদের পদত্যাগ করে প্রার্থী হতে হবে। তবে কাউন্সিলররা নিজেদের পদে থেকেই নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন। মেয়রদের অবশ্যই মনোনয়নপত্র দাখিলের আগেই পদত্যাগ করতে হবে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান বিশেষ পরিপত্রের মাধ্যমজে সম্ভাব্য প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে এ নির্দেশনা দিয়েছেন।

পরিপত্রে বলা হয়, সিটি করপোরেশন একটি সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ।

ফলে সিটি করপোরেশনের মেয়র পদটিকে লাভজনক পদ হিসেবে ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯ অনুযায়ী, মেয়র পদে অধিষ্ঠিত কোনো ব্যক্তি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। তবে ওই ব্যক্তি নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক হলে তাকে পদত্যাগ করতে হবে।

অন্যদিকে কাউন্সিলর পদধারীরা সার্বক্ষণিক লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত নয়, ফলে পদে বর্তমান থেকে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে তাদের আইনগত কোনো বাধা নেই।

বিশেষ পরিপত্রে আরও বলা হয়, সম্ভাব্য কোনো প্রার্থী ফৌজদারী বা নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে, এবং ওই দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল হলে এবং আপিল আদালত নিম্ন আদালতের রায় বা সাজা স্থগিত না করে থাকলে, অযোগ্য হবেন বা সংশ্লিষ্ট প্রার্থী জামিন পেলে অযোগ্য হবেন। অর্থাৎ সংশ্লিষ্ট সাজা স্থতিগ বা মওকুফ না হওয়ার পর্যন্ত নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য হবেন। এছাড়াও সাজাভোগ শেষে পাঁচ বছর সময় পর্যন্ত নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন ওই ব্যক্তি।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ৩১ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাই হবে ২ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১০ জানুয়ারি। ৩০ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করা যাবে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারকে নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন।

৫৪টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১৮টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড নিয়ে ডিএনসিসি গঠিত। এ নির্বাচনে ১ হাজার ৩৪৯টি ভোটকেন্দ্রের ৭ হাজার ৫১৬টি কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ ভোটার এতে নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।

ডিএনসিসিতে ৭৫টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ২৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে। এ নির্বাচনে ১ হাজার ১২৪টি ভোটকেন্দ্রের ৫ হাজার ৯৯৮টি কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ ভোটার এ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।
 
২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন একযোগে অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীকালে উত্তরের মেয়র আনিসুন হক মারা গেলে উপ-নির্বাচন হয় চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি।

সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী, করপোরেশনের মেয়াদ হচ্ছে প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। আর ভোটের আয়োজন করতে হয় মেয়াদ পূর্তির পূর্ববর্তী ১৮০দিনের মধ্যে। সে অনুযায়ী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ১৩ মে, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ১৬ মে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯ 
ইইউডি/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।