ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

এনআইডি জালিয়াতি, সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছে ইসি

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২০
এনআইডি জালিয়াতি, সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলা দিচ্ছে ইসি সাবরিনা চৌধুরী

ঢাকা: জেকেজি হেলথ কেয়ারের সাবেক চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী মিথ্যা তথ্য দিয়ে দুইবার ভোটার হওয়া এবং জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংগ্রহ করায় তার বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসি সচিব মো. আলমগীর।

তিনি বলেন, এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালককে মামলা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সাবরিনার দ্বিতীয় এনআইডিটি ব্লক করে দেওয়া হয়েছে।

ইসি সচিব জানান, কোন প্রক্রিয়ায়, কার সুপারিশে তিনি দ্বিতীয়বার ভোটার হয়েছেন, আমাদের কেউ কোন অসৎ উদ্দেশ্যে সহায়তা করেছেন কি-না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ভোটার তালিকা আইন-২০০৯ অনুযায়ী, দ্বৈত ভোটার হওয়া বা চেষ্টার বিষয়টিকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে অন্তত দুই বছর জেল ও জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে।

এ বিষয়ে এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে মৌখিকভাবে নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট থানা নির্বাচন কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়েছে। এরপরও আমরা একটা চিঠি দিচ্ছি মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করার জন্য।

ইসির এনআইডি শাখা থেকে জানা গেছে, ২০০৯ সালে প্রথমবার ভোটার হন সাবরিনা শারমিন হোসেন। সেই অনুযায়ী তার এনআইডি নম্বর: ৬৪৪০০৮৩৮৩৭। ভোটার নম্বর: ২৬১৩০১০০০০২৫। বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা: ১২২/ক, মোহাম্মদপুর পিসি কালচার হাউজিং সোসাইটি। জন্ম তারিখ: ২ ডিসেম্বর, ১৯৭৮। মাতার নাম: কিশোয়ারা জেসমিন, স্বামীর নাম: এইচ হক। পেশা: সরকারি চাকরি আর শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতকোত্তর।

অন্যদিকে তথ্য গোপন এবং মিথ্য তথ্য দিয়ে ২০১৬ সালে পুনরায় ভোটার হয়েছে সাবরিনা শারমিন হোসেন। সিই অনুযায়ী, তার অপর এনআইডি নম্বর: ৮৭০৪৩৭৩০৮৬। ভোটার নম্বর: ২৬১১১৫৫০০২৩২৫। বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা: ১৪/এ, আনোয়ার ল্যান্ডমার্ক, প্রগতি সরণি, বাড্ডা।

এই এনআইডিতে তার জন্ম তারিখ: ২ ডিসেম্বর, ১৯৮৩। অর্থাৎ ৫ বছর বয়স কমিয়েছেন তিনি। মায়ের নাম জেসমিন হোসেন আর স্বামী আরিফুল চৌধুরী। মায়ের ও স্বামীর নামে পরিবর্তন হয়েছে। এছাড়া শিক্ষাগত যোগ্যতা কমিয়ে স্নাতক উল্লেখ করা হয়েছে। আগের এনআইডিতে শনাক্তকারী কোনো চিহ্ন না থাকলেও দ্বিতীয় এনআইডিতে ‘চিবুকে তিল’ থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

এনআইডি মহাপরিচালক বলেন, আমরা অতীতেও অনেকের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করে দ্বিতীয়বার ভোটার হওয়ার কারণে মামলা দিয়েছি। কাউকেই ছাড় দেইনি। এ ঘটনায় জড়িতদেরও ছাড় দেওয়া হবে না।

কোভিড-১৯ এর ভুয়া রিপোর্ট সরবরাহ করার দায়ে জেকেজির চেয়ারম্যান হিসেবে সাবরিনা চৌধুরী ও তার স্বামী আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা চলমান রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২০
ইইউডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।