ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে ইসির মতিবিনিময় রোববার

সিনিয়র করসেপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২২
বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে ইসির মতিবিনিময় রোববার

ঢাকা: আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ধারাবাহিক সংলাপ আগামী রোববার (১৩ মার্চ) শুরু হচ্ছে। এক্ষেত্রে বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে ওই দিন বিকেল ৩টায় মতবিনিময় করবে সংস্থাটি।

ইসির যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে বুদ্ধিজীবিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের আয়োজন করা হবে। এক্ষেত্রে ১৩ মার্চ বিকেল ৩টায় সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। মূলত বুদ্ধিজীবী বলতে নির্বাচন নিয়ে কাজ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন অভিজ্ঞ শিক্ষকদের সঙ্গে বসা হবে। তাদের পরামর্শ নিয়ে স্টেকহোল্ডারসহ বিভিন্ন মহলের সঙ্গে পরবর্তীতে ধারাবাহিক সংলাপে বসবে কমিশন।

তিনি বলেন, ৩০ জনের মতো শিক্ষাবিদ/বুদ্ধিজীবীর তালিকা করা হয়েছে। তবে নাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

জানা গেছে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে বিশিষ্টজনদের মতামত নেওয়া হবে সভায়। এরপর ধারাবাহিকভাবে সুশীল সমাজ, নারী নেত্রী,  গণমাধ্যম ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও সংলাপ করবে নির্বাচন কমিশন। তবে কোন মহলের সঙ্গে কবে বৈঠক হবে তা এখনও নির্ধারণ হয়নি।

এছাড়া নির্বাচনের আগে আবারও বিভিন্ন মহলের সঙ্গে বসতে পারে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। পরদিন তারা শপথ নিয়ে প্রথম অফিস করেন ২৮ ফেব্রুয়ারি। এরপর পুরোদমে এখনও কাজ শুরু করেনি ইসি। এর মাঝে জাতীয় স্মৃতিসৌধ, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন, ভোটার দিবস উদযাপন ও নানা আনুষ্ঠানিকতা করেছেন।

দায়িত্ব নেওয়ার পর এতো তাড়াতাড়ি আগের কোনো কমিশন মতবিনিময় বা সংলাপে বসার উদ্যোগ নেননি। অবশ্য দায়িত্ব নিয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তারা বলেছিলেন- আমরা দলগুলোকে চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানাতে পারি।

ইসি সর্বশেষ বিভিন্ন মহলের সঙ্গে সংলাপে বসেছিলেন ২০১৭ সালে। সে  বছর ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসার মধ্য দিয়ে কার্যত ওই সংলাপ শুরু হয়েছিল। এরপর ৪০টি রাজনৈতিক দল, নারী নেতৃত্ব, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও গণমাধ্যমের সঙ্গেও বসেছিলেন তৎকালীন কেএম নূরুল হুদার কমিশন।

সর্বশেষ সংলাপ থেকে আসা সুপারিশের মধ্য থেকে দু’টো প্রধান ভাগে ভাগ করে ইসি। এর মধ্যে একটি অংশ ইসির নিজের এখতিয়ারভুক্ত। অন্যটি সরকারের এখতিয়ারভুক্ত। সরকারের এখতিয়াভুক্ত সুপারিশগুলো মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠায় কমিশন। আর বাকি সুপারিশগুলো নিজেদের কর্মপরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করে।

কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের অধীনেই আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে ২০২৩ সালের শুরু থেকেই নিতে হবে নির্বাচনী প্রস্তুতি। আর তার আগেই সংলাপের আয়োজন ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন সচেতন মহল।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, ৮ মার্চ, ২০২২
ইইউডি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।