ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ইভিএম নয়, সেনা চায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২২
ইভিএম নয়, সেনা চায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস

ঢাকা: আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট ব্যালট পেপারে করার জন্য বলেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। একই সঙ্গে নির্বাচনের সাতদিন আগে থেকেই সেনা মোতায়েনসহ ১৫টি প্রস্তাব দিয়েছে দলটি।

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) নির্বাচন ভবনে আয়োজিত সংলাপে অংশ নিয়ে লিখিতভাবে এসব প্রস্তাব দিয়েছে তারা।

প্রস্তাবগুলো হচ্ছে-

১। নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সর্বাত্বক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
২। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার দিন থেকে স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের বদলির ক্ষমতা ইসির হাতে রাখা এবং সব নির্বাচনী এলাকায় ভোট গ্রহণের সাত দিন আগে থেকে নির্বাচনের ৭২ ঘণ্টা পর পর্যন্ত সেনাবাহিনী মোতায়েন রাখা।

৩। নির্বাচনে যেভাবে অর্থের প্রভাব খাটিয়ে ভোটারদের বিপথগামী ও চরিত্র নষ্ট করা হয়ে থাকে তাতে কোনো সৎ ও যোগ্য লোকের নির্বাচন করা খুবই কঠিন। আর এ অপতৎপরতা বন্ধ করা ইসির দায়িত্ব। অতীতে যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়ায় উল্লেখযোগ্য কোনো সফলতা পাওয়া যায়নি। নির্বাচনে কালো টাকার প্রভাব চলছেই। এ বিষয়ে দলটির পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে- ইসির সরাসরি নিয়ন্ত্রণে সব প্রার্থীর পক্ষ থেকে সার্বিক প্রচার-প্রচারণার ব্যবস্থা; একই পোস্টারে সব প্রার্থীর পরিচয় ও প্রতীক এবং একই মঞ্চে সব প্রার্থীর বক্তৃতার ব্যবস্থা। এজন্য  জামানতের সঙ্গে এসব খরচের টাকা প্রার্থী/দল থেকে নেওয়া যেতে পারে।

৪। নির্বাচন সংক্রান্ত মামলা সর্বোচ্চ ছয় মাসের মধ্যে ইসির মাধ্যমে নিস্পত্তি করা।
৫। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হওয়ার জন্য যে কোনো প্রতিবন্ধকতা দূর করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া।

৬। ধর্ম ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিরোধী কোনো দলকে নিবন্ধন না দেওয়া।

৭। রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য ধর্মের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিংবা বিরোধপূর্ণ কোনো আইন ও শর্ত আরোপ না করা।

৮। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগে সংসদ ভেঙে দেওয়া।

৯। নির্বাচন চলাকালীন সময়ে সব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও লাইসেন্সকৃত অস্ত্র জমার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।

১০। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর রাজনৈতিক মামলায় গ্রেফতারকৃত সব কারাবন্দিকে মুক্তি দেওয়া। নতুন কোনো রাজনৈতিক মামলা না দেওয়া। কোনো প্রার্থী ও তার কর্মীদের অযথা হয়রানি না করা।

১১। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ব্যালট পেপারের মাধ্যমে করা।

১২। অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা।

১৩। নিরপেক্ষভাবে ভোটের সংবাদ প্রচারে/সরাসরি সম্প্রচারে মিডিয়ার ওপর কোনোরূপ বাধা সৃষ্টি না করা।

১৪। প্রতিটি ভোট কেন্দ্র সিসি ক্যামরার আওতায় আনা (সিল মারার স্থান ব্যতিত)।

১৫। প্রবাসীরা যাতে ভোট দিতে পারেন সে জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া।

সংলাপে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। এছাড়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), চার নির্বাচন কমিশনারসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এতে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০২২
ইইউডি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।