ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ভাবমূর্তির সংকট দেখছে ইসি; তথ্যমন্ত্রী বললেন আস্থা আছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৭ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২২
ভাবমূর্তির সংকট দেখছে ইসি; তথ্যমন্ত্রী বললেন আস্থা আছে নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ

ঢাকা : বিদ্যমান রাজনৈতিক আলোচনার মধ্যে নিজেদের ভাবমূর্তির সংকট দেখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এ সংশয়কে উড়িয়ে দিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন নির্বাচন কমিশনের ওপর আস্থা আছে।

রোববার (৩১ জুলাই) নির্বাচন ভবনে আয়োজিত সংলাপে অংশ নিয়ে নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানার বক্তব্যে জের ধরে এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তথ্যমন্ত্রী।

নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, আমরা যখন থেকে দায়িত্ব নিয়েছি ঠিক তখন থেকে আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারছি ইসিতে কোনো রকম কাজের পরিবেশ নেই। কোনো রকম কাজ করার সুযোগ নেই। তারা নিরপেক্ষতা হারিয়ে ফেলেছে। এটাতে মনে হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি একেবারে নেই এবং ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে।

তিনি বলেন, ভোটারাও ভোট দিতে আগ্রহী না, তারা কেন্দ্রে আসতে চায় না। তারা নির্বাচনে কোনো আনন্দ বা আগ্রহই পাচ্ছে না। এই যে বিষয়গুলো এগুলো এখন আমাদের জন্য, নির্বাচন কমিশনের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি মনে করি, আমাদের এই ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনাটা খুবই জরুরি।

তিনি আরও বলেন, হয়তো এটা জনগণের মনে একটা ভ্রান্ত ধারণা হয়ে গেছে এবং সেটাকে আমাদের দূর করার চেষ্টা করতে হবে। আর সেটা দূর করার ক্ষেত্রে আমি মনে করি, আমরা যারা নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট; বিশেষ করে যারা স্টেকহোল্ডার, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, প্রার্থী, ভোটার, জনগণ, আমরা নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনের সাথে যতো দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসন, জনপ্রশাসন সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা নিয়ে এই জায়গাটা উদ্ধারের কাজে নামতে হবে।

আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, যেহেতু আপনারা সরকারে আছেন, সেহেতু আপনাদেরই কিন্তু বড় দায়িত্ব এই নির্বাচনটা যাতে আর যাতে সুন্দর হয়, গ্রহণযোগ্য হয় এই অবস্থাটা তৈরি করে দেওয়া। আমি শুধু আপনাদের মাধ্যমে সবাইকে আহ্বান জানাতে চাই আমরা, আমাদের দায়িত্ব শতভাগ পালন করবো সততার সাথে। আপনারাও আমাদের আন্তরিক সহযোগিতা দেবেন যারা নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট থাকবেন। আমি বিশ্বাস করি, আমরা যদি সবাই সম্মিলিত ভাবে এ কাজ গুলো করতে থাকি নিশ্চয়ই আমরা কামিয়াব হবো। আমরা অবশ্যই কমিশনের ভাবমূর্তি, আবার স্বস্থানে ফিরিয়ে আনতে পারবো।

রাশেদা সুলতানার বক্তব্যের পর হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা সরকারে আছি। তবে আমরা দলগতভাবে এসেছি। রাশিদা সুলতানা বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি; নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি হচ্ছে এমন, পার্টিসিপেশন সেভেন্টি পার্সেন্ট, সিক্সটি পার্সেন্ট সমস্ত ইলেকশনে। পার্টিসিপেশন নাই এটা কে বলে?

তিনি বলেন, নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ আছে। নির্বাচন কমিশনের উপর জনগণের আস্থা আছে। জনগণ ব্যাপকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে। সে সমস্ত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিরোধীরাও অনেক ক্ষেত্রে জয়লাভ করেছে৷ কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। সুতরাং নির্বাচন কমিশনের উপর আস্থা আছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে সংলাপে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিলেন উপদেষ্টামণ্ডলির সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, কর্নেল ফারুক খান, ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। এছাড়া সিইসি ছাড়াও চার নির্বাচন কমিশন ও ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৫ ঘণ্টা, ৩১ জুলাই, ২০২২
ইইউডি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।