ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন

নাজিরপুর উপ-নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে সব গ্রুপ একাট্টা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৫ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২৩
নাজিরপুর উপ-নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করতে সব গ্রুপ একাট্টা

পিরোজপুর: পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন হবে আগামী ২৫ মে। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে দলের সব গ্রুপ এক হয়ে কাজ করছে।

আর এতে প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত বলে দাবি করছেন কর্মীরা।

উপজেলা আ.লীগের বিভিন্ন সূত্রের খবর, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলা আ.লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়ালের সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিমের একটি বিরোধ রয়েছে।  আর এ বিরোধের জেরে উপজেলা আ.লীগের একটি অংশকে চাঙ্গা রাখছেন সংগঠনের জেলা সভাপতি। আর এ উপ-নির্বাচনে আ.লীগের প্রার্থী জেলা সভাপতির পক্ষের লোক। সে হিসেবে মন্ত্রী সমর্থিত নেতাকর্মীদের সমর্থন-সহযোগিতা না পাওয়ার কথা তার।  

তবে সরেজমিনে তেমন চিত্র দেখা যাচ্ছে না। সব বিরোধ ভুলে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে আ.লীগের নেতাকর্মীরা একাট্টা হয়ে কাজ করছেন।

এ উপ-নির্বাচনে পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আ.লীগের প্রার্থী হয়েছেন মো. তানভীর হাসান ডালিম ও ইসলামী শাসনতন্ত্রের মো. এজাজ খান।  

আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ৩ জন - উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাসেল শিকদার, উপজেলার সদর বাজার কমিটির সভাপতি মো. আরিফুর রহমান খান টুবুল ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ আলী শিকদার।  

এদের মধ্যে মোহাম্মাদ আলী শিকদার ডামি প্রার্থী হিসাবে মাঠে রয়েছেন বলে দাবি স্বতন্ত্র প্রার্থী রাসেল শিকদারের। আর এজন্য মোহাম্মাদ আলীর পক্ষে কোনো পোস্টার বা প্রচারণা নেই। মোহাম্মাদ আলী সম্পর্কে রাসের চাচা হন।  

এ উপনির্বাচনকে ঘিরে মন্ত্রী শ.ম রেজাউল সংগঠনের ভেতর কোনো গ্রুপিংয়ের কথা স্বীকার করতে নারাজ। তার দাবি সংগঠনের সবাই তাকে ভালোবাসেন। দলের স্বার্থে সবাই এক।

সরেজমিনেও এমনটা দেখা যাচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে কাজ করছেন মন্ত্রীর মেজোভাই উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম নজরুল ইসলাম বাবুল ও তার ছোটভাই আ.লীগ নেতা এসএম নুরে আলম সিদ্দিকী শাহীন। যদিও উপজেলা সদর ইউনিয়নটিতে নৌকা বিরোধী ভোটারের সংখ্যা বেশি। তবুও প্রার্থীকে বিজয়ী করতে সব কর্মীদের এক হয়ে কাজ করায় নৌকার বিজয়কে নিশ্চিত বলে দাবি সংগঠনের কর্মীদের।

এ বিষয়ে মন্ত্রীর মেজোভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম নজরুল ইসলাম বাবুল বলেন, মন্ত্রিত্ব আমাদের বড় পরিচয় নয়। আমরা আজীবন আওয়াম লীগ সমর্থিত পরিবারের লোক। এ পরিচয়ে আমরা দলের গ্রুপিংকে প্রধান্য না দিয়ে নৌকার বিজয় করতে প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছি।

এ বিষয়ে আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী তানভীর হাসান ডালিম বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পর থেকেই স্থানীয় আ.লীগের সব গ্রুপের নেতাকর্মীরা নৌকার পক্ষে প্রচারণায় আন্তরিকভাবে অংশ নিচ্ছেন।

উল্লেখ্য, গত ১ নভেম্বর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাস্টার অমূল্য রঞ্জন হালদার মারা যান। ওই পদে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি উপজেলার সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও  উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোশারেফ হোসেন খান বিনা
প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আর এ জন্য তিনি ইউপি চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করলে ওই পদটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৫ মে ওই ইউনিয়নের ৯টি কেন্দ্রে ৮ হাজার ৪৫৬ জন পুরুষ এবং ৮
হাজার ৩৮৯ জন নারী ভোটার ইভিএমের মাধ্যমে ভোট দেবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।