ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন

বিসিসি নির্বাচন: বরিশালে ১০ প্লাটুন বিজিবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০২ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৩
বিসিসি নির্বাচন: বরিশালে ১০ প্লাটুন বিজিবি

বরিশাল: আগামী সোমবার (১২ জুন) বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করবে র‌্যাব-পুলিশ-বিজিবিসহ বিভিন্ন বাহিনীর সাড়ে ৪ হাজার সদস্য। ইতোমধ্যে নির্বাচনী এলাকায় পৌঁছেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের ১০ প্লাটুন।

বহিরাগতদেরও এলাকা ছাড়তে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, শনিবার (১০ জুন) দুপুর ১টার দিকে বিজিবি ১০টি প্লাটুন বরিশাল পৌঁছায়। এ তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। আগামীকাল রোববার (১১ জুন) থেকে প্লাটুনের সদস্যরা মাঠপর্যায়ে নিজেদের কাজ শুরু করবে বলেও তিনি জানান।

এর আগে বেলা ১১টায় বরিশাল নিজেদের সদর দপ্তরের কনফারেন্স রুমে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রধান মো. সাইফুল ইসলাম বিপিএম (বার)। এ সময় তিনি কোন বাহিনীর কি দায়িত্ব, সে সম্পর্কে গণমাধ্যমকে জানান।

সাইফুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনী এলাকায় আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সাড়ে ৪ হাজার সদস্যকে বিভিন্নভাবে কার্যক্ষেত্রে নিয়োগ করা হবে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।

নির্বাচনের কেন্দ্র মোট ১২৬টি। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে ১০৬ টিকে। প্রতি কেন্দ্রেই ছয়-সাতজন পুলিশ; ১২ জন করে আনসার সদস্য থাকবে। মোট ১৮ থেকে ১৮ জন একেকটি কেন্দ্রের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা ত্রিশটি ওয়ার্ডে ৫১টি মোবাইল টিম গঠন করেছি সেখানকার কেন্দ্রগুলোকে টার্গেট করে। এছাড়া স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। একটি ওয়ার্ডে অল্প জায়গায় একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্বে থাকবে। এর বাইরে ব্যাপক ফোর্সের সমন্বয়ে ১০টি স্ট্যান্ডবাই টিম রাখা হয়েছে। একটি থানার দায়িত্বে একজন উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি), তিনজন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি), ৬ জন সহকারী কমিশনার (এসি) থাকবেন। নারী ভোটার ও কেন্দ্রের জন্য নারী পুলিশ সদস্যদের দিয়ে টিম করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে পুলিশের টিম থাকবে।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের প্রধান আরও বলেন, ভোটের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আমরা চাই সামান্যতম কোনো ইন্সিডেন্ট যেন না ঘটে। মানুষ ভয়ভীতি নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবে না, বরং উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দেবে। এজন্য কোনো ধরনের প্যানিক সৃষ্টি করা যাবে না। ভোটাররা যেন রাস্তায় পুলিশ দেখে নিজেদের সিকিওর মনে করে।

যারা ভোটার না কিন্তু এখানে অনেক দিন ধরে থাকছেন, কাজ করছেন তাদের তো বের করে দিতে পারবো না। তবে বরিশালে কোনো বহিরাগত থাকতে পারবে না। অর্থাৎ যারা ভোটার না; তবে যদি ইমার্জেন্সি হয় সে বিষয়টি আলাদা। তবে তাও যাচাই বাছাই করা হবে।

ব্রিফিংয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) আবু আহাম্মদ আল মামুন, উপ–পুলিশ কমিশনার (সদর) মোহাম্মদ নজরুল হোসেন, উপ–পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. জুলফিকার আলী হায়দার, উপ–পুলিশ কমিশনার (সিএসবি) মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার, পিপিএম, উপ–পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. আলী আশরাফ ভূঞা, বিপিএম (বার) ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০২৩
এমএস/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।