ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন

জয়ের খবরে উল্লসিত আওয়ামী লীগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৫
জয়ের খবরে উল্লসিত আওয়ামী লীগ

ঢাকা: পৌর নির্বাচনে একের পর এক পৌরসভায় বিজয়ের খবরে উল্লাসিত ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ধানমন্ডি সভানেত্রীর অফিস।

বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই নেতাকর্মীর ভীড়ে ভরপুর ছিলো অফিস।

তবে সন্ধ্যার পর আরও প্রাণ চাঞ্চল্যে উৎসবমুখর হয়ে উঠে অফিস এলাকা। এরপরই বিজয়ের উল্লাসে মেতে উঠেন তারা।
 
সকাল থেকেই সভানেত্রীর ধানমন্ডির কার্যালয়ে একের পর এক নেতাকর্মীরা আসতে থাকেন। শুরুতেই সকাল ৮টায় বিএনপির দফতর সম্পাদক রুহুল কবির রিজবীর একটি বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানান দলের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি।

এরপর সকাল ১০টার দিকে ধানমন্ডি অফিস থেকে নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে যায় দলের একটি প্রতিনিধি দল।
 
এরপর দলের অফিসে চলে আসেন জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মাহবুব-উল আলম হানিফ। তারা যৌথভাবে দুপুর ১২টায় দলীয় বিফ্রিং করেন। দিনের শেষ  বিকেল সাড়ে ৪টায় বিফ্রিং করেন দলের মাহবুব উল আলম হানিফ।

আর নির্বাচন নিয়ে সকালে প্রথম প্রতিক্রিয়ায় খালেদ মাহমুদ বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুষ্ঠ‍ুভাবে চলুক এটা বিএনপির উদ্দেশ্য নয়, তাদের উদ্দেশ্য বিশৃঙ্খলা। তারা নির্বাচন ঘিরে ষড়যন্ত্র করছে। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের কোনো খেলা পর্যন্ত তারা থাকে তা বলা যাচ্ছে না।
 
দুপুর ১২টায় হানিফ বলেন, দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সারাদেশে ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণ। আর সাংবাদিকদের উপর বিএনপি পরিকল্পিতভাবে ককেটেল হামলা করেছে।
 
শেষ বিফ্রিংয়ে তিনি জয় পরাজয় মেনে নিয়ে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে সব দলের প্রতি অনুরোধ করেন। একই সঙ্গে পৌর নির্বাচনের ফলাফলে মানুষ সন্ত্রাস চায় না উন্নয়ন অগ্রগতি চায় তা বোঝা যাবে বলে জানান।

রাতে ভোট যুদ্ধের ফলাফলে আওয়ামী লীগের বিজয়ের খবরে উপস্থিত কয়েকশ কর্মী এবং অর্ধশতাধিক কেন্দ্রীয় নেতারা উল্লাস প্রকাশ করেন।
 
দেশের ২৩৪ পৌরসভায় প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচন। আওয়ামী লীগের নৌকা ও বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থীর মধ্যে হয় এ লড়াই।
 
সাত বছর পর আওয়ামী লীগ ও বিএনপি তাদের দলীয় প্রতীক নৌকা এবং ধানের শীষ নিয়ে মুখোমুখি হয় ভোটযুদ্ধে।

বাংলানিউজের কাছে আসা সবশেষ ফলে মোট ২২৭টি পৌরসভার ফল জানা গেছে। এতে মেয়র পদে ১৮০ জন আওয়ামী লীগ প্রার্থী, ১৬ জন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী, ১৯ জন বিএনপি প্রার্থী, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতের ১ জন করে এবং ৫ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৪০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
এসএ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।