ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

সেই গন্ধগোকুলটি ফিরলো নিজ আবাসে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৮
সেই গন্ধগোকুলটি ফিরলো নিজ আবাসে গন্ধগোকুল বাচ্চাটি অবমুক্ত করা হচ্ছে, ছবি: বাংলানিউজ

বগুড়া: প্রাণী জগতের একটি বিপন্ন নাম ‘গন্ধগোকুল’। প্রাণীটি অনেকের কাছে ‘তাল খাটাশ’ নামেও পরিচিত। ইংরেজিতে একে বলে Asian Palm Civet। যার বৈজ্ঞানিক নাম Paradoxurus hermaphroditus। আর সম্প্রতি একটি মা গন্ধগোকুলসহ চারটি বাচ্চার সন্ধান মেলে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী সীমাবাড়ী বাজার এলাকায়।

কিন্তু কিছু মানুষের চিরচেনা কুৎসিত দৃষ্টি পড়ে সেই মা গন্ধগোকুলসহ বাচ্চাদের ওপর। লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তারা মা গন্ধগোকুলকে হত্যা করে।

একটি বাচ্চাও লাঠির আঘাতে ভীষণভাবে আহত হয়। তবে শেষ পর্যন্ত তিনটি বাচ্চা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

পরে আহত বাচ্চাটি উদ্ধার করে সীমাবাড়ী ইউনিয়নের কালিয়াকৈর গ্রামের মুঞ্জিল সেখ। তিনি সরাসরি বাচ্চাটি নিয়ে যান বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্বাধীনজীবন’র নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক নাসিমের কাছে। সেখানে প্রায় ২৮ দিন পরিচর্যার পর বাচ্চাটি সুস্থ হয়ে উঠে এবং অবশেষে এটিকে অবমুক্ত করেন তিনি।

বুধবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠা এই গন্ধগোকুলকে এলাকার লোকজনের উপস্থিতিতে সামীবাড়ী বাজার এলাকায় অবমুক্ত করা হয়। খাঁচায়বন্দি থেকে মুক্ত হওয়া মাত্রই গন্ধগোকুলটি দৌঁড়ে পাশের ঝোপঝাড়ে চলে যায়।
 
এসময় স্বাধীনজীবনের নির্বাহী পরিচালক ছাড়াও কোষাধ্যক্ষ টিটু সরকার, সদস্য বুলবুল ইসলাম, শরিফুল ইসলাম, সীমাবাড়ী ইউনিয়ন শিক্ষক কল্যাণ সমিতি সভাপতি আলমগীর কাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
 
স্বাধীনজীবনের নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক নাসিম বাংলানিউজকে বলেন, ১৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে সীমাবাড়ী বাজার এলাকায় মা গন্ধগোকুলসহ চারটি বাচ্চার দেখা মেলে। কতিপয় ব্যক্তিরা মা গন্ধগোকুলকে পিটিয়ে হত্যা করে। তিনটি বাচ্চা পালিয়ে যায়। একটি বাচ্চাকে পিটিয়ে আহত করা হয়। পরে আহত ওই বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর গ্রামে আমার বাড়িতে রাখা হয়।

তিনি বলেন, বাচ্চাটিকে নিয়মিত মুরগির মাংসসহ নানা পুস্টিকর খাবার খাইয়ে ধীরে ধীরে সুস্থ করে তোলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৭, ২০১৮
এমবিএইচ/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।