ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

অবাধে বন্যপ্রাণী শিকার চলছে কালেঙ্গা রেঞ্জে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৮
অবাধে বন্যপ্রাণী শিকার চলছে কালেঙ্গা রেঞ্জে সংরক্ষিত কালেঙ্গা বন। ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজার: হবিগঞ্জের কালেঙ্গা রেঞ্জে চলছে অবাধে বন্যপ্রাণী শিকার। পার্শ্ববর্তী চা বাগানের শ্রমিক এবং পাহাড়ে বসবাসকারী নৃগোষ্ঠীর সদস্যরা যৌথ উদ্যোগে এ বন্যপ্রাণী শিকার অব্যাহত রেখেছেন। স্থানীয় দুই জন ব্যক্তির স্বীকারোক্তিতে পাওয়া গেছে এর সত্যতা।

তবে এ ব্যাপারে কার্যকর ভূমিকা নিচ্ছে না সিলেট বিভাগের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ।  

সূত্র জানায়, রাতের আঁধারে সপ্তাহে দু-একদিন পর পর নিয়মিতভাবে কালেঙ্গা রেঞ্জের মায়া হরিণ, বন্যশূকরসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী শিকার করা হচ্ছে।

গত শনিবার দিবাগত গভীর রাতে শিকারিরা বন্ধুক সহযোগে বনে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে ওই শিকারির দল দুটি বন্যশূকরের ওপর কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়লে একটি বন্যশূকর দূরে গিয়ে মারা যায়।

জানা গেছে, ফিনলে টি এর দারাগাঁও চা বাগানের ফাঁড়ি চা বাগান হাতিমারা। এ বাগানের কতিপয় চা শ্রমিক এবং হাতিমাড়া খাসিয়াপুঞ্জির অধিবাসীরা অবৈধ শিকারের সাথে জড়িত। তারা বন্যপ্রাণী শিকার করে আস্ত শিকারটিকে কখনোই নিয়ে আসে না। বনের মধ্যেই সেগুলোর ছাল ছাড়িয়ে মাংস টুকরো টুকরো করে তারপর নিয়ে আসে। যাতে কেউ কখনোই বুঝতে না পারে যে তারা বন্যপ্রাণী শিকার করছে।

স্থানীয় চুনারুঘাট উপজেলার সাটিয়াজুড়ি ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি কাউন্সিলর দীপক খাড়িয়া বাংলানিউজকে বলেন, কালেঙ্গা রেঞ্জে নিয়মিত শিকার চলছে। এর সঙ্গে জড়িত স্থানীয় হাতিমারা খাসিয়াপুঞ্জির কিছু অবৈধ শিকারীরা সরাসরি জড়িত। তারা প্রভাবশালী, তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলা যায় না।

স্থানীয় রেমা বিটের ভিলেজার্স (বনে বসবাসকারী) বশির মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, কালেঙ্গা রেঞ্জের রশিদপুর বিটে প্রায়ই শিকার করা হচ্ছে। গত কয়েকদিন পূর্বে আমরা রাতে টহলের সময় অবৈধভাবে বন্যপ্রাণীদের শিকার করতে আসা শিকারীদের অবস্থান টের পেয়ে তাদের ধাওয়া দিয়েছি।

তিনি আরো বলেন, রশিদপুর বিট আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও হাতিমারা চা বাগানে অপর একদল শিকারী স্থানীয় খাসিয়াদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে হরিণ, বন্যশূকর শিকারে লিপ্ত রয়েছে। রেমা বিট থেকে হাতিমারা চা বাগানের জঙ্গলে গিয়ে আমাদের সিপিজি (যৌথ টহল দল) সদস্যদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই স্থানীয় বনবিভাগের উচিত হাতিমারা চা বাগানের ওপর তাদের নজরদারি বাড়ানো।

এ ব্যাপারে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আবু মুসা সামসুল মুহিতের সাথে যোগাযোগ করা হলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। রাতের আঁধারে কালেঙ্গা রেঞ্জে বন্যপ্রাণী শিকার বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৬০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৮
বিবিবি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।