ঢাকা, বুধবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

দেশের একমাত্র পতঙ্গভুক মহাবিপন্ন ফুল ‘সূর্যশিশির’

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৯
দেশের একমাত্র পতঙ্গভুক মহাবিপন্ন ফুল ‘সূর্যশিশির’ মাংসাশী ফুল সূর্যশিশির। ছবি : তানিয়া খান

মৌলভীবাজার: ফুল বলতে আমরা জানি, নানা রঙের-নানা আকারের বৈচিত্র্যপূর্ণ একেকটি কোমল প্রাকৃতিক পাপড়িযুক্ত বস্তু। তারা কেবল সৌন্দর্য বিলিয়ে মানুষ ও প্রাণীকূলকে বিমুগ্ধ এবং বেঁচে থাকার যোগান দিয়ে থাকে।

কিন্তু এ ফুলটি একেবারে ভিন্নতর। এটি বিস্ময়কর এক মাংসাশী ফুল।

অর্থাৎ কীট-পতঙ্গ খেয়ে থাকে ফুলটি। তবে সে মহাবিপন্ন। আমাদের দেশের প্রাকৃতিক বন-জঙ্গল উজাড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের অস্তিত্বও মারাত্মক হুমকির মুখে।

বন্যপ্রাণি গবেষক ও সংরক্ষক তানিয়া খান বাংলানিউজকে বলেন, এ ফুলটি বাংলা নাম সূর্যশিশির। ইংরেজি নাম Sundews এবং বৈজ্ঞানিক নাম Drosera। এরা Droseraceae পরিবারের উদ্ভিদ। এটি আমাদের দেশের একমাত্র পতঙ্গখেকো উদ্ভিদ।

তিনি আরো বলেন, একমাত্র সিলেট এলাকার কয়েকটি জোনে তাকে দেখা গিয়েছিল। তিন বছর আগে আমি একে মৌলভীবাজারের একটি বনে খুঁজে পেয়েছিলাম। তিন বছর পর সম্প্রতি আবার তাকে অপর একটি জঙ্গলে খুঁজে পেলাম।

সারা বছর যে এদের কেউ না কেউ দেখেছে; এমনটা কখনোই কিন্তু নয়। বর্ষা মৌসুমে এদের মাঝে মাঝে খুঁজে পাওয়া যায়। অপেক্ষাকৃত কর্দমাক্ত স্থানে এরা বেশি জন্মে বলে জানান তানিয়া।  

এ ফুলেটির পোকা খাওয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, ফুলের মাথায় তীব্র আঠা থাকে এবং কোনো কীট-পতঙ্গ যখন ওই ফুলটিকে নর্মাল ফুল ভেবে ওর উপর বসে তখনই তীব্র আঠায় আটকা পড়ে যায়।

“আমি কয়েকটি ‘সূর্যশিশির’ সংগ্রহ করে গবেষণার জন্য এনেছি। দেখতে চাই এরা সারাবছর টিকে থাকে কি না” -বলেন বন্যপ্রাণি গবেষক ও সংরক্ষক তানিয়া খান।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৯
বিবিবি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।