ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

বর্ষা ছড়িয়ে পড়েছে, অতিভারী বর্ষণের আভাস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৪ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২০
বর্ষা ছড়িয়ে পড়েছে, অতিভারী বর্ষণের আভাস ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: আর একদিন বাদেই শুরু হচ্ছে বাংলা ক্যালেন্ডারের বর্ষাকাল। একইসঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রকৃতিও ফিরছে নিজের রূপে। তাই দেশের আকাশে ছেয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু তথা বর্ষা।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, আষাঢ়ের শুরুতেই অতিভারী বর্ষণের কথা। যা অব্যাহত থাকতে পারে পুরো সপ্তাহজুড়ে।

তবে দেশে সব অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি না হলেও মাঝারি ধরনের বর্ষণ হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, বর্ষা দেশের আকাশে বিস্তার লাভ করেছে। এখন যে বৃষ্টিপাত হচ্ছে, তা বর্ষার প্রভাবেই হচ্ছে। এটা অব্যাহত থাকবে।

গত সপ্তাহের পুরোটাই ভ্যাপসা গরম আর তাপপ্রবাহের ভেতর অতিবাহিত করেছে দেশবাসী। রাজধানীর পরিস্থিতি ছিল অসহনীয় পর্যায়ে। সেই অবস্থা কাটতে শুরু করে গত বৃহস্পতিবার। সেদিন তাপপ্রবাহ কেটে গেলে বর্ষার প্রভাব বাড়তে শুরু করে। ফলে বর্তমানে পরিস্থিতি বেশ আরামদায়ক হয়ে ওঠেছে।

তবে বৃষ্টিরও ভোগান্তি রয়েছে। সেটা এখন তেমন না হলেও বাড়বে সামনেই। তাই এখন সময় ছাতা, রেইনকোট, গামবুটসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহ করার।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে উড়িষ্যা উপকূল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ আকারে অবস্থান করছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর বিস্তার লাভ করেছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।

এই অবস্থায় রোববার (১৪ জুন) সন্ধ্যা নাগাদ রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।

এ সময় সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।

ঢাকায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যাবে, যা অস্থায়ীভাবে দমকায় ঘণ্টায় ৩০ থেকে কিলোমিটার ওঠে যেতে পারে। আগামী মঙ্গলবার (১৬ জুন) নাগাদ পরিস্থিতি তেমন কোনো পরিবর্তন হবে না।

এদিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর প্রবল উত্তাল রয়েছে। তাই কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

গভীর সাগরে বিচরণ না করতে এবং উপকূলের কাছাকাছি থেকে সব মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারকে চলাচল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নদীবন্দরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে-রংপুর, দিনাজপুর, পাবনা, বগুড়া, টাংগাইল, ময়মনসিংহ, সিলেট, যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, মাদারীপুর, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে দক্ষণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

প্রায় এ সপ্তাহ পর বৃষ্টিপাতের মাত্রা ভারী বর্ষণের ছকে প্রবেশ করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে হাতিয়ায়, ৯৬ মিলিমিটার। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজারহাটে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৮ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২০
ইইউডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।