ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

কৃত্রিম উপায়ে পঞ্চমবারের মতো ডিম দিয়েছে মা অজগর

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৪ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২২
কৃত্রিম উপায়ে পঞ্চমবারের মতো ডিম দিয়েছে মা অজগর কুণ্ডলি পাকিয়ে ডিমের ওপর বসে আছে মা অজগর। ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায় অবস্থিত বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে খাঁচার ভেতর রাখা একটি অজগর সাপ পঞ্চমবারের মতো ডিম দিয়েছে।

কৃত্রিম পদ্ধতিতে বংশবৃদ্ধির উদ্দেশ্যে এই ডিম ফোটানোর ব্যাপারটিকে নিজেদের সাফল্য হিসেবে দেখছেন বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ।



সূত্র জানায়, এর আগেও এই অজগরটি চারবারে শতাধিক ছানা (বাচ্চা) ফুটিয়েছে। সেই ছানাগুলো পরিণত বয়সের হওয়ার পর লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান এবং সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করে দেয় বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন।  

রোববার (২২ মে) সন্ধ্যা থেকে সোমবার (২৩ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত ৩৫/৪০টির মতো ডিম দিয়েছে অজগরটি।  

বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে গিয়ে দেখা যায়, খাঁচার ভেতর মা অজগরটি ডিমগুলো জড়িয়ে বসে আছে।  

বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল জানান, অজগরটি ৬০ দিন এভাবে জড়িয়ে কুণ্ডলি পাকিয়ে ডিমগুলোকে থেকে তা দিতে থাকবে। এ সময় সাপটি কোনো ধরনের খাবার খাবে না। এমনকি পানিও খাবে না। ডিম থেকে বাচ্চা ফোটার আগের দিন ডিম ছেড়ে সাপটি সরে যাবে। এর পরদিন থেকে একে একে ডিম থেকে বাচ্চা ফোটা শুরু হবে।  

তিনি আরও বলেন, প্রায় ১০ বছর আগে শ্রীমঙ্গলের মির্জাপুর এলাকা থেকে অজগরটি উদ্ধার করা হয়। তখন থেকে এটি আমাদের সেবা ফাউন্ডেশনেই আছে। এর আগে চারবার ডিম দিয়েছে। প্রতিবারই ডিমের সংখ্যা ৩৫/৪০টির কাছাকাছি। ধারণা করছি, এবারও ৪০টির মতো ডিম দিয়েছে। এই অজগরটির বয়স অনুমানিক ১৩ বছর।

চারবারের মধ্যে একবার কোনো ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়নি। বাকি তিনবারের ডিম থেকে মোট ১০০ বাচ্চা ফুটে বের হয়। আমরা এগুলো লাউয়াছড়া বনে ফিরিয়ে দিয়েছি। এবারও বাচ্চাগুলো ডিম থেকে ফুটে পরিপূর্ণ বয়স হলে তাদেরকে প্রাকৃতিক আবাসস্থলে ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান সজল।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০২২
বিবিবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।