ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

বাউফলে বসতবাড়িতে মেছোবাঘের ২ শাবক

বাউফল সংবাদদাতা | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১২
বাউফলে বসতবাড়িতে মেছোবাঘের ২ শাবক

বাউফল (পটুয়াখালী) : খাদ্য ও আবাসস্থল সংকুচিত হয়ে আসায় বন্য প্রাণীদের লোকালয়ে চলে আসা স্বাভাবিক ও নিত্যনৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বিলবিলাস গ্রামে রোববার রাতে বসতবাড়ির একটি খুপরি ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিরল প্রজাতির প্রাণী মেছোবাঘ বা বনবিড়ালের সদ্যপ্রসূত দু’টি বাচ্চা।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মেছোবাঘ শাবক দু’টি ওই গ্রামের কালা সাত্তার মিয়ার বাড়িতে রয়েছে।

কালা সাত্তার মিয়া বাংলানিউজকে জানান, রোববার সন্ধ্যার দিকে বাড়ির ছেলেরা পাশের একটি খুপরি ঘরে অযাচিত শব্দ পেয়ে কৌতূহলবশতঃ ভিতরে ঢুকে একটি বড় মেছোবাঘসহ দু’টি বাচ্চা দেখতে পায়। মানুষের উপস্থিতি টের পেয়ে মা মেছোবাঘটি লাফিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ছেলেরা বাচ্চা দুটোকে বাহিরে এনে খেলতে শুরু করে।

বাড়ির মহিলাদের ধারণা, নিরাপদ কোনো স্থান না পেয়ে মা মেছোবাঘটি ওই খুপরি ঘরে এসে  দিনের (রোববার)  কোনো এক সময় এ বাচ্চা দু’টো প্রসব করেছে।

রোববার রাত ৮টার দিকে সরেজমিনে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাচ্চা দু’টিকে একটি খাঁচায় আটকে রাখা হয়েছে। চারদিকে উৎসুক ছেলেমেয়েদের ভিড়। শাবক দু’টি ফ্যাল-ফ্যাল করে চারদিকে তাকাচ্ছিল। মা মেছোবাঘটি কাছে না থাকায় বড়ই অসহায় দেখাচ্ছিল বাচ্চা দু’টিকে।

বেসরকারি সংস্থা স্লোব বাংলাদেশের পশু সম্পদ  ব্যবস্থাপক ডা. ফজলুল হক  বাংলানিউজকে জানান, মেছোবাঘকে স্থানীয়ভাবে বাগডাস বলা হয়। তবে এরা বনবিড়াল নামেও পরিচিত। এরা সাধারণতঃ নম্র ও শান্ত স্বভাবের প্রাণী।
বিনা কারণে এরা মানুষের কোনো ক্ষতি করে না। ঝোপ-ঝাড়ের মধ্যে থাকতে পছন্দ করে। পোকা-মাকর, কীট-পতঙ্গ, শামুক এদের প্রিয় খাবার।

ডা. ফজলুল হক মনে করেন, বিলুপ্ত প্রায় এ প্রজাতিটিকে রক্ষা করার জন্য শাবক দু’টিকে না মেরে বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করা উচিত।

বাংলাদেশ সময় : ০৭৩৫ ঘন্টা, মার্চ ১২, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।