ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফুটবল

সমতা ফিরিয়ে খেলা টাইব্রেকারে নিয়ে গেল ক্রোয়েশিয়া

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০২২
সমতা ফিরিয়ে খেলা টাইব্রেকারে নিয়ে গেল ক্রোয়েশিয়া

নাটকীয়তা, রোমাঞ্চ, শ্বাসরুদ্ধ-নকআউট পর্বেই তো এসব হয়। আরো বেশি মাত্রায় হয়।

নির্ধারিত ৯০ মিনিটেও যখন আলাদা করা যায়নি তখন খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়। ১০৫ মিনিটে নেইমারের গোলে এগিয়ে গেল ব্রাজিল। কিন্তু হারার আগে হার কেই বা মানতে চায়। ক্রোয়েশিয়াও তাই মানেনি। ১১৬ মিনিটে ব্রুনো পেতকোভিচের দুর্দান্ত গোল তাদের এখনো বাঁচিয়ে রাখে বিশ্বকাপে। যার ফলে অতিরিক্ত ৩০ মিনিট শেষেও অবিচ্ছিন্ন দুই দল। তাই সেমিফাইনালে কে যাবে তা নির্ধারণ করতে এখন তাকিয়ে থাকতে হবে টাইব্রেকারের দিকে।  

নেইমারের গোলে ডেডলক ভাঙল ব্রাজিল। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে গোলশূন্য থাকার পর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। আর সেখানেই বাজিমাত নেইমারের। ১০৫ মিনিটে অবশেষে অপ্রতিরোধ্য ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক লিভাকোভিচকে পরাস্ত করেন তিনি। লুকাস পাকেতার সঙ্গে ওয়ান-টু করার পর ডান প্রান্ত থেকে সুক্ষ্মকোণ দিয়ে বল জালে জড়ান নেইমার। এই গোলের মাধ্যমে কিংবদন্তি পেলেকে ছুলেন এই ফরোয়ার্ড। ব্রাজিলের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় ৭৭ গোল নিয়ে পেলের সঙ্গে শীর্ষে আছেন তিনি।   কিন্তু বেশিক্ষণ এগিয়ে থাকতে পারেনি ব্রাজিল।  গোলমুখে একটি মাত্র শট নিল ক্রোয়েশিয়া। আর তাতেই গোল। ওরসিচের পাস থেকে বাঁ পায়ের দুর্দান্ত শটে জাল খুঁজে নেন পেতকোভিচ।

 

এর আগে পুরো ৯০ মিনিট আক্রমণে পর আক্রমণে ক্রোয়েশিয়ার ডিফেন্স ও গোলরক্ষককে ব্যতিব্যস্ত করে রেখেছে ব্রাজিল। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি। শতচেষ্টা করেও মুখ ফিরিয়ে নিতে হয়েছে নেইমার-রিচার্লিসনদের। দুর্গ রক্ষার পাশাপাশি পাল্টা আক্রমণে যায় ক্রোয়েশিয়াও। কিন্তু ব্রাজিলের ডি বক্সে সেভাবে কোনো আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারেনি।

এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে কাতার বিশ্বকাপের প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালের শুরুটা হয় ম্যাড়মেড়ে। রেফারির বাঁশি বাজার পর ব্রাজিলকে চেনাই যাচ্ছিল না।  ছন্দ খুঁজে পেতে সময় নেয় তিতে শিষ্যরা। তবে মিডফিল্ডে জায়গা হারাচ্ছিল ক্রোয়াটদের কাছে।   তারপরও সেই দুঃসময় কাটিয়ে ওঠে সেলেসাওরা। কিন্তু কোনোভাবেই অতিক্রম করতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া গোলরক্ষক লিভাকোভিচকে। গোলমুখে ব্রাজিলের নেওয়া ৮টি শটের সবগুলোই ঠেকিয়ে দেন তিনি।    

প্রথমার্ধে মারিও পাসালিচের নেওয়া ক্রস মিলিতাওয়ের চাপে ঠিকঠাক পায়ে লাগাতে পারেননি পেরিসিচ। ২০তম মিনিটে সুযোগ পায় ব্রাজিল। বক্সে রিচার্লিসনের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়ার এক পর্যায়ে শট নেন তিনি। সেটি অবশ্য ঠেকিয়ে দেন ক্রোয়েশিয়া গোলরক্ষক। ৪২তম মিনিটে বক্সের খুব কাছেই ফ্রি-কিক পায় ব্রাজিল। নেইমারের নেওয়া শট ঝাপিয়ে ঠেকান ক্রোয়েশিয়া গোলরক্ষক।

৫৫ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে নেইমার রাইফেল ছুঁড়লেও তা জালের দেখা পায়নি। দারুণ দক্ষতায় তা ঠেকিয়ে দেন ক্রোয়েশিয়া গোলরক্ষক ডমিনিক লিভাকোভিচ। ৬৬ মিনিটে আবারও ব্রাজিলের বাধা হয়ে দাড়ান তিনি। ক্রোয়েশিয়ার ডি বক্সে লুজ বল পেয়েছিলেন লুকাস পাকেতা। তাকে আটকানোর মতো কেউ ছিল না তখন। কিন্তু লিভাকোভিচ জাল রক্ষা করতে কোনো ভুল করেননি। কর্নারের মাধ্যমে পাকেতার সেই শট ফিরিয়ে দেন তিনি।

৭৬ মিনিটে  নেইমারকে বাঁ প্রান্ত দিয়ে ঢোকার সুযোগ করে দেন রিচার্লিসন। লিভাকোভিচ ঠিকই বুঝতে পেরেছিলেন নেইমারের পায়ে বল থাকা মানেই বিপদ। তাই তাকে আটকাতে নিজের সর্বস্বটা উজাড় করে দেন তিনি। নেইমারের শট পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন এই গোলরক্ষক। দ্বিতিয়ার্ধের যোগ করা সময়ে বা পায়ে কাট করেন আন্তনি। কিন্তু তা সোজা চলে যায় লিভাকোভিচের হাতে।

বাংলাদেশ সময় : ২৩৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২২

এএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।