ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

সাফে সেমিফাইনালে চোখ তপুর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৩ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০২৩
সাফে সেমিফাইনালে চোখ তপুর

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপকে সামনে রেখে আজ (০৪ জুন) থেকে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাম্প। ক্যাম্পে ডাক পাওয়া ৩০ ফুটবলারই নির্ধারিত সময়ে দলের ম্যানেজার আমের খানের কাছে রিপোর্ট করেছেন সকলে।

কাল থেকে শুরু হবে জাতীয় দলের অনুশীলন। সাফে সেমিফাইনালে খেলার লক্ষ্য নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করছেন বলে জানিয়েছেন তপু বর্মণ।
 
সাফে এবার চতুর্থবারের মতো অংশ নিতে যাচ্ছেন তপু। নিজেদের লক্ষ্যের কথা জানাতে গিয়ে এই ডিফেন্ডার বলেন, ‘সাফ যে মাসে শুরু হয়, আমাদের প্রস্তুতিটা কিন্তু সে মাসে শুরু হয় না। আমরা তার আগে থেকেই কিন্তু প্রস্তুতিটা শুরু করে দেই। এ সাফটা আমাদের জন্য বড় একটা সুযোগ। কারণ, আমরা আমাদের গ্রুপটাকে ভালোভাবে জানি। যদি আমি খেলোয়াড় হিসেবে বলি, খেলোয়াড়রা খুবই মোটিভেটেড। সাফে লড়াই করার জন্য সবাই প্রস্তুত।  আমাদের লক্ষ্য সেমিফাইনালে খেলা। ’
এবারের সাফে ‘বি’ গ্রুপে খেলবে বাংলাদেশ। সেখানে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ লেবানন, মালদ্বীপ আর ভুটান। গ্রুপ নিয়ে সন্তুষ্ট তপু। প্রতিপক্ষ নিয়ে ভালো ধারণা আছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তপু বলেন, ‘গ্রুপটা দেখেন মালদ্বীপ, ভুটান আর লেবানন। লেবানন সম্পর্কে একটু কম ধারণা আছে। তারপরে কিন্তু আপনার মালদ্বীপ আর ভুটান। এই দুইটা দল সম্পর্কে আমাদের খুব ভালো ধারণা আছে। আমার কাছে মনে হয় আমাদের খুব ভালো ধারণা আছে। আমরা সে ভাবেই এগোবো। ’

দল হিসেবে মালদ্বীপ-ভুটান বেশ শক্তিশালী। তাদের বিপক্ষে জয়ের বিষয়ে কতটা আশাবাদী? এমন প্রশ্নের জবাবে তপু বলেন, ‘শতভাগ। শ্রীলঙ্কায় মালদ্বীপের বিপক্ষে আমি যখন শেষ খেলি, তাদের আমরা ২-১ গোলে হারিয়েছিলাম। সে দলটাই কিন্তু থাকবে এখানে। তাদের শক্তি ও দুর্বলতা সম্পর্কে আমরা খুব ভালোভাবে জানি। ’ 

‘ভুটানের বিপক্ষে অনেক দিন ধরে আমাদের খেলা হয় না। ওরা অনেক দিন ধরে খেলায় ছিল না। তো এই দুইটা ম্যাচ আমরা মনে করি আমাদের বাঁচা-মরার লড়াই। আমরা সবসময় চেষ্টা করব। লেবানন ম্যাচটাও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি সেখানে কম ব্যবধানে হারি বা ড্র করি, তাহলে আমাদের সুযোগটা আরও বেড়ে যাবে। তো অবশ্যই আমরা ওভাবেই এগোবো। ’

ইনজুরির কারণে বেশ কিছুদিন মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে তপুকে। চোট কাটিয়ে দলে ফিরেছেন তিনি। জাতীয় দলের জন্য নিজের সেরাটা উজার করে দিতে চান এই ডিফেন্ডার।  

তপু বলেন, ‘চোট থেকে আমি এখন অনেকটাই সুস্থ, শতভাগ ফিট। কোচের সঙ্গে, নতুন ফিজিওর সঙ্গেও কথা হয়েছে। তো আমার যে কন্ডিশন এখন ১০০ভাগ সুস্থ আছি। আর ব্যক্তিগত অর্জন থেকে আমার মনে হয় দেশের অর্জনটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যখনই আপনি দেশের জন্য খেলবেন, তখনই কিন্তু আপনার ব্যক্তিগত অর্জনটাও চলে আসবে। সাফে আমার ৪টা গোল আছে, আমার মনে হয়, আমাদের দেশের দুই জন খেলোয়াড় আছেন যাদের ৫ গোল আছে। আমি চেষ্টা করব যেন তাদের ছুঁতে পারি। এটা আমার ব্যক্তিগত লক্ষ্য। ’

সেমিফাইনালে খেলার প্রসঙ্গে তপু বলেন, ‘অবশ্যই সম্ভব। আমরা একসঙ্গে অনেক দিন খেলছি। আমরা জানি সাফ আমাদের জন্য কত গুরুত্বপূর্ণ। তো সেভাবেই আমরা এগোবো। একটা দল যখন গঠন করে, তখন কিন্তু সবাইকে দেখেই দল গড়ে। কার কী শক্তি, কার কী ক্ষমতা আছে, তা দেখেই কিন্তু দল গড়ে। আমরা চেষ্টা করব। প্রথমত সেমিফাইনালটা আমাদের প্রথম লক্ষ্য। কারণ আপনি যদি সেমিফাইনালে পৌঁছাতে পারেন, তাহলে নকআউট স্টেজে আপনি হারতেও পারেন জিততেও পারেন। ’

বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০২৩
এআর/এএইচএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।