ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

শেষ ম্যাচেও গোল করলেন বেনজেমা

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫১ ঘণ্টা, জুন ৫, ২০২৩
শেষ ম্যাচেও গোল করলেন বেনজেমা

রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে ১৪ বছরের সাফল্যে ভরা ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন করিম বেনজেমা। ঘরের মাঠে আতলেতিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে রিয়ালের হয়ে লা লিগায় শেষ ম্যাচ খেলে ফেললেন ৩৫ বছর বয়েসি এই ফরাসি ফুটবলার।

শেষ ম্যাচে গোল করলেন দলের হয়ে। তবে বিলবাওয়ের বিপক্ষে ১-১ গোলের ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো রিয়ালকে।

বেনজেমার বিদায়ী ম্যাচে উজ্জ্বল ছিলেন গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া। সতীর্থের বিদায়ী ম্যাচে নিজের সেরটা উজাড় করে দিয়েছেন তিনি। রিয়ালের গোলবারের নিচে চীনের প্রাচীর হয়ে দাঁড়ালেন কর্তোয়া। পেনাল্টি রুখে দিলেন, করলেন আরও দারুণ কিছু সেভ।  

ম্যাচের দশ মিনিটেই পিছিয়ে পরতে পারতো রিয়াল। তবে দলকে রক্ষা করেছেন কর্তোয়া। টনি ক্রুসের হ্যান্ডবলের কারণে পেনাল্টি পায় বিলবাও। তবে মিকেল ভাসগারের শট ফিরিয়ে দেন কর্তোয়া। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সবশেষ ১০ পেনাল্টির পাঁচটি ঠেকালেন বেলজিয়ান গোলরক্ষক।  


প্রথমার্ধে তেমন উল্লেখযোগ্য আক্রমণ করতে পারেনি রিয়াল। তবে বিলবাওয়ের বেশ কিছু নিশ্চিত গোল রুখে দিয়েছেন রিয়াল গোলরক্ষক। ‍পুরো ম্যাচে তেমন উজ্জ্বল ছিলেন না বেনজেমা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই এগিয়ে যায় বিলবাও। ৪৯তম মিনিটে নিজেদের অর্ধে দানি সেবায়োস বল হারান। আন্দ্রে এরেরার কাছ থেকে বল পেয়ে বুলেট গতির শট নেন ওইহান সানসেট। কোনোমতে পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন কোর্তোয়া। তবে ফিরতি শটে আর জাল খুঁজে নেন সানসেট।

৭২তম মিনিটে দলকে সমতায় ফেরান বেনজেমা। স্পট কিকে ঠাণ্ডা মাথায় মাঝ বরাবার শট নিয়ে দলকে সমতায় ফেরান তিনি। ক্লাবের হয়ে নিজের ৩৫৪তম গোলের পরপরই মাঠ ছাড়েন ফরাসি এই স্ট্রাইকার। দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানান রিয়াল সমর্থকরা।  

২০০৯ সালের জুলাইয়ে রিয়ালে যোগ দেওয়া বেনজেমা সময়ের পরিক্রমায় হয়ে ওঠেন ক্লাবটির ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়দের একজন। মাদ্রিদের দলটির হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৬৪৮ ম্যাচে তার গোল ৩৫৪টি। তার চেয়ে বেশি গোল আছে কেবল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর, ৪৫০টি।

রিয়ালের হয়ে তার পারফরম্যান্স সবচেয়ে বেশি উজ্জ্বল ছিল ২০২১-২২ মৌসুমে। সেবার দলকে লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতাতে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৪৬ ম্যাচে তিনি গোল করেন ৪৪টি। এর মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১৫টি এবং যার ১০টিই নকআউট পর্বে। একের পর এক ম্যাচে রিয়ালের রূপকথার প্রত্যাবর্তনের নায়ক ছিলেন তিনি। ওই বছর তিনি প্রথমবারের মতো জেতেন ব্যালন ডি’অর।

পাঁচটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, চারটি লা লিগাসহ রিয়ালের জার্সিতে সব মিলিয়ে বেনজেমা জিতেছেন ২৫টি ট্রফি।

এই ড্রয়ে লা লিগায় ৩৮ ম্যাচে ৭৮ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ হলো রিয়াল। একটা সময় তাদের দ্বিতীয় স্থানে থাকাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। একই সময়ে ভিয়ারিয়ালের মাঠে ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে রানার্সআপ হওয়ার অবস্থায় ছিল অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদ। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গোল খায় তারা। তাতে ২-২ গোলে ড্র করে ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে তিনেই শেষ করলো রিয়ালের নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী।

বাংলাদেশ সময়: ০১১৪ ঘণ্টা, ০৫ মে, ২০২৩
এআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।