ঢাকা, বুধবার, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ফুটবল

টিএসসিতে ব্রাজিল সমর্থকদের উল্লাস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬২১ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৪
টিএসসিতে ব্রাজিল সমর্থকদের উল্লাস ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে বড় পর্দায় দেখানো হয়েছে বিশ্বকাপ ফুটবলের উদ্বোধনী খেলা। সেজান জুস ও জিটির সৌজন্যে এ ব্যবস্থা করা হয়।

রাত ১০টার পর থেকে টিএসসি চত্বরে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। খেলা শেষে উল্লাস করেন ব্রাজিল সমর্থকরা। কেউ কেউ ব্রাজিলের জার্সি গায়ে দিয়ে মিছিল করেছেন। তবে খুশি হতে পারেননি ব্রাজিলের বিপক্ষ দলের সমর্থকরা।
 
খেলা দেখতে আশপাশের এলাকা থেকে কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয় টিএসসি চত্বরে। অবশ্য খেলা ব্রাজিল এবং ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে হলেও টিএসসি চত্বরে উপস্থিত সমর্থকরা মূলত আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল দলে বিভক্ত ছিল। নিজের পছন্দের দলকে সমর্থন দিতে এসব সমর্থকরা নিজ দলের জার্সি গায়ে দিয়ে আনন্দ উল্লাস করছে।
 
চানখারপুল থেকে বড় পর্দায় খেলা দেখতে আসা আরিফ জানান, আমি মূলত আর্জেন্টিনার সমর্থক। তবে ব্রাজিলের বিপক্ষে যে দল থাকে সে দলই মূলত সমর্থন করি। আজ আমি বড় পর্দায় খেলা দেখতে এসেছি। আজকের জন্য আমি ক্রোয়েশিয়ার সমর্থক। এ সময় ব্রাজিল ও ক্রোয়েশিয়ার সমর্থকদের দলের পক্ষে স্লোগান দিতে শোনা যায়।
 
অন্যদিকে, প্রত্যাশা অনুযায়ী জয় পেলেও পুরোপুরি খুশি হতে পারেননি ব্রাজিলের সমর্থকরা। কারণ প্রথমার্ধের ১১ মিনিটে মার্সেলোর আত্মঘাতী গোল ব্রাজিল সমর্থকদের বেশ হতাশ করে। এ সময় ব্রাজিল দলের পাশাপাশি সমর্থকরাও বেশ ভেঙে পরেন। ব্রাজিল সমর্থকদের আরও হতাশ করে ২৭ মিনিটের হলুদ কার্ড। তবে ২৯ মিনিটে নেইমারের অসাধারণ শটে গোল হওয়ায় সমতা আসে খেলায়।
 
প্রথম ম্যাচের ৭১ মিনিটে নেইমারের পেনাল্টি শটে দ্বিতীয় গোলে স্বাগতিক ব্রাজিল ২-১ গোলে এগিয়ে থাকায় বেশ আনন্দে মেতে ওঠে ব্রাজিল সমর্থকরা। তবে এ পেনাল্টি দেওয়ায় তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে আর্জেন্টিনার (ক্রোয়েশিয়া) সমর্থকরা। এ সময় তারা রেফারির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
 
এরপর সবশেষে ৯০ মিনিটের মাথায় রামিরেসের পাস থেকে ডি-বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ে শট নিয়ে ক্রোয়েশিয়ানদের গোল পোস্টের বাম কোণের উপর দিয়ে বল জালে পাঠান অস্কার। সাথে সাথে ব্রাজিল সমর্থকদের উল্লাস দ্বিগুণ হয়ে যায়।
 
খেলা শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হলের ছাত্র বাবুল সরকার জানান, প্রথম গোল হওয়ার পর খুবই ভেঙে পরেছিলাম। তবে সাহস হারাইনি। কারণ আমার আত্মবিশ্বাস ছিল ব্রাজিল নিজের দেশে জিতবেই।
 
রিক্সা চালক সবুজ জানান, আমি অনেক আগে থেকেই ব্রাজিলের সমর্থক। তবে বাসায় টিভি না থাকায় রিক্সা নিয়ে টিএসসিতে চলে এসেছি। খুবই ভাল লাগছে নিজের সমর্থিত দল জিততে পারায়।
 
জগন্নাথ হলের ছাত্র সঞ্জয় কুমার বলেন, আশা করেছিলাম ব্রাজিল আরও ভাল খেলবে। কিন্তু খেলাটার শুরু অনেক খরাপ হয়েছিল। পরবর্তীতে ব্রাজিল অনেক ভালো  খেলেছে।
 
তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রীষ্মকালীন ছুটি থাকায় আমার বন্ধুরা সবাই গ্রামের বাড়িতে গিয়েছে। তারা থাকলে আরও বেশি আনন্দ হতো। আশা করি ব্রাজিল এ বিশ্বকাপের ট্রফিটা ঘরে তুলতে পারবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৬০৬ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।