এর আগে শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) প্রথমার্ধের শুরু থেকেই বেশ গোছানো ও পরিচ্ছন্ন ফুটবল উপহার দিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। নবাগত হলেও দলটির ডিফেন্স, মাঝমাঠ ও আক্রমনভাগের দাপট বারবারই আবাহনীকে কাঁপিয়ে দিয়েছে।
পক্ষান্তরে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন আবাহনী ছিলো অগোছালো ও ছন্নছাড়া। যেমন রক্ষণভাগ তেমনি আক্রমনভাগ। পুরো ৪৫ মিনিটে কিংস সীমনায় একাধীক আক্রমন রচনা করলেও ফিনিদিংয়ের অভাবে কাংক্ষিত গোলের দেখা মেলেনি। আর রক্ষণভাগের অসাবধনতাও ছিলো নিদাররুণ হতাশার।
ছবি: শোয়েব মিথুন/বাংলানিউজ
ম্যাচের বয়স তখন ২২ মিনিট, দারুণ এক ডিফেন্সচেরা এক আক্রমন রচনা করে আবাহনীর ডি বক্সের ভেতর ঢুকে সরাসরি পোস্টে শট নেন কিংসের ডিফেন্ডার সুশান্ত ত্রিপুরা। আবাহনি গোলি শহিদুল আলম তা ফিরিয়ে দিলে ফিরতি বল থেকে জালে বল জড়ান কোস্টারিকান তারকা ডেনিয়েল কলিনড্রেস। ১-০ তে লিড পায় বায়েজিদ আহমেদ জুবায়েরের শিষ্যরা।
৫ মিনিট পরই সমতায় ফেরার দারুণ এক সুযোগ হাতছাড়া করে আবাহনী। ডান দিক থেকে সানডে চিজুবার কর্ণার কিক থেকে আসা বল লাফিয়ে উঠে দ্রুতগতির হেডে প্রায় জালে বল ঠেলে দিয়েছিলেন বোলফের্ট। কিন্ত সেখানে বাধ সাধেন কিংস গোলরক্ষক জিকো।
ছবি: শোয়েব মিথুন/বাংলানিউজ
এখানেই শেষ নয়, প্রথমার্ধ শেষের আগে আরও দুটি নিশ্চিত গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেছে দলটি। ৩৫ মিনিটে ডি-বক্সের জটলায় বল পেয়ে হালকা ক্রস দেন আবাহনীর বেলফোর্ট, দারুণ ক্রসটিকে গোলে পরিণত করতে ব্যর্থ হন ফরোয়ার্ড সানডে। ৩৯ মিনিটে কিংসের গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোলমুখ খুলতে পারেননি আবাহনীর বেলফোর্ট।
সেই সুযোগে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বসুন্ধরা কিংস।
বাংলাদেশ সময়ঃ ১৭৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৮
এইচএল/এমকেএম