ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ফুটবল

বোনুচ্চির গোলে সমতায় ফিরলো ইতালি

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২১
বোনুচ্চির গোলে সমতায় ফিরলো ইতালি

খেলার দ্বিতীয় মিনিটেই গোল হজম করার পর ইংল্যান্ডের রক্ষণে আক্রমণের বন্যা বইয়ে দিয়েছিল ইতালি। কিন্তু ইংলিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ডের কাছে বার বার প্রতিহত হয় তাদের আক্রমণ।

অবশেষে ৬৭তম মিনিটে ইতালিয়ানদের সমতায় ফেরানো গোল এনে দিলেন অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার লিওনার্দো বোনুচ্চি।

রোববার রাতে ওয়েম্বলি স্টেডীয়ামে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২০ এর ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে ইতালি ও ইংল্যান্ড।

ইতালি সেমিফাইনালের অপরিবর্তিত দল নিয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফাইনালের লড়াইয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমনকি তারা বদলি ফুটবলারের তালিকাতেও কোনো বদল করেনি। ইংল্যান্ড তাদের প্রথম একাদশে একটি বদল করেছে। সাকার বদলে তারা শুরু থেকেই মাঠে নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রিপিয়ারকে।

ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে কর্নার কিক পায় ইতালি। কর্নার থেকে ভেসে আসা বল ক্লিয়ারই করা নয় শুধু নিজেদের নিয়ন্ত্রণেও ধরে রাখে ইংল্যান্ড। উঠে যায় কাউন্টার অ্যাটাকে। ইতালির বক্সের ডান পাশ থেকে বাম পাশে লম্বা পাস দেন কিয়েরান ট্রিপিয়ার। দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসা লুক শ ডান পায়ের দুর্দান্ত এক শট নেন তাতে। মুহূর্তেই বলটি জড়িয়ে গেল ইতালির জালে।

নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক গোলের দেখা ইউরোর ফাইনালে এসে পেলেন লুক শ। ইউরো কাপের ইতিহাসে একটি রেকর্ডও গড়লেন তিনি। ১ মিনিট ৫৭ সেকেন্ডে করা তার গোলটিই ইউরোর ফাইনাল ম্যাচে করা দ্রুততম গোল। ১৯৬৪ সালে পেরেদা ৬ মিনিটের মাথায় গোল করেছিলেন।

চলতি ইউরোর ৬টি ম্যাচে মাঠে নেমে ১টি গোল করার পাশাপাশি ৩টি গোলের পাস বাড়িয়েছেন শ।

গোল হজম করার ৬ মিনিট পরেই সমতায় ফেরার সুযোগ পায় ইতালি। কিন্তু ইংল্যান্ডের পোস্ট লক্ষ্য করে শট নেওয়া ইনসাইনের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। এরপর ১৭তম মিনিটে এমারসন অফসাইডের আওতায় পড়লে ভেস্তে যায় ইতালির আক্রমণ। কয়েক মিনিট পর ইংল্যান্ডের ট্রিপিয়ারেরও একই পরিণতি হয়।  

২৮তম মিনিটে ইতালির ইনসাইনের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। ৩৫তম মিনিটে সিয়েসা সহজ সুযোগ নষ্ট করলে ব্যবধান কমাতে পারেনি ইতালি। যোগ করা সময়ে ভেরাত্তির আক্রমণ প্রতিহত করেন ইংলিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ড। ফলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ইংল্যান্ড।  

দ্বিতীয়ার্ধেও জারি থাকে ইতালিয়ানদের আক্রমণের ধারা।  ৫১ মিনিটের মাথায় ইনসাইনের আক্রমণ লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।  ৫৩তম মিনিটে ফের আক্রমণে ওঠে ইতালি। এবারও ইনসাইনের শট টার্গেটে ছিল না। দুই মিনিট পর ইংল্যান্ডের হ্যারি মাগুইর আক্রমণ শানান ইতালির বক্সে। কিন্তু তার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। ৫৭তম মিনিটে ইনসাইন শট নেন ইংল্যান্ডের পোস্ট লক্ষ্য করে। আক্রমণ প্রহিত হয় পিকফোর্ডের দক্ষতায়।  ৬২তম মিনিটে ফের ইংল্যান্ডের পতন রোধ করেন পিকফোর্ড। একটু পর সিয়েসার আক্রমণও প্রতিহত করেন তিনি।  ৬৭ মিনিটের মাথায় ভেরাত্তির হেডার প্রতিহত করেন ইংলিশ গোলরক্ষক।  

অবশেষে ৬৭তম মিনিটে প্রতিপক্ষের রক্ষণের জটলা থেকে গোল করেন বোনুচ্চি। যদিও শুরুতে শট ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন পিকফোর্ড। কিন্তু তাকে পরাস্ত করে ইউরোর ফাইনালে সবথেকে বেশি বয়সে গোল করার রেকর্ড গড়েন বোনুচ্চি। ৩৪ বছর ৭১ দিন বয়সে ইউরোয় লড়াইয়ে গোল করার রেকর্ড গড়লেন তিনি। ১৯৭৬ সালে পশ্চিম জার্মানির হয়ে হলজেনবেইন ৩০ বছর বয়সে গোল করেছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ০২৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২১
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।