ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

ভয়াবহ পরিস্থিতি, দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২১
ভয়াবহ পরিস্থিতি, দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি

কলকাতা: ভারতে করোনা ভাইরাসে মহারাষ্ট্রের পর সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি দিল্লির।  অক্সিজেনের অভাব।

দেখা নেই রেমডেসিভিরের মতো ওষুধের। বাড়ছে মৃতের মিছিল। অসহায় রোগী ও তাদের পরিজনেরা। নিরুপায় চিকিৎসক, প্রশাসন থেকে জনপ্রতিনিধিরা।

এহেন পরিস্থিতিতে শাসকদল আমআদমি পার্টির বিধায়ক সোয়েব ইকবাল দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি শাসনের আবেদন জানালেন।

পুরানো দিল্লির চাদনী চক জেলার মতিয়া মহলের ছ’বারের বিধায়ক সোয়েব ইকবাল। তার কথায়, দিল্লির অবস্থা আমাদের দুঃশ্চিন্তা বাড়িয়ে তুলেছে। অক্সিজেনের হাহাকার। ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। মৃতের স্তুপে স্বজনহারাদের কান্না। আমি ঘুমোতে পারছি না। আমার নিজের বন্ধু করোনায় আক্রান্ত। হাসপাতালে থাকা সত্ত্বেও তাকে অক্সিজেন, লাইফ সাপোর্ট কিছুরই ব্যবস্থা করে দিতে পারিনি। রেমডেসিভিরের জন্য প্রেসক্রিপশন থাকলেও মিলছে না। আমি ছয় বারের বিধায়ক। বিধায়ক হিসাবে আমি কোনও সাহায্যই করতে পারছি না। খুব লজ্জা করছে। দিল্লি হাইকোর্টের কাছে আমার অনুরোধ এখানে রাষ্ট্রপতি  শাসন জারি করা হোক, নয়তো রাস্তায় মৃতদেহের স্তুপ বাড়তে থাকবে।

এরআগে দিল্লিতে অক্সিজেনের অমিল নিয়ে ভার্চুয়ালই প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। যা নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে শোরগোলও পড়েছিল। এরমধ্যে দিল্লির করুন পরিণতিতে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুললেন কেজরিওয়াল দলেরই বিধায়ক। এক্ষেত্রে কী বিধায়ক কেজরিওয়াল সরকাকেই দায়ী করলেন? বিতর্ক দানা বাধলেও এ বিষয়ে মুখ খোলেননি আমআদমির পার্টির কোনও নেতা। তবে বিরোধীদের মত কেজরিওয়াল সরকারের সাথে বিজেপি ও কংগ্রেসেও কটাক্ষ করেছে।

রাজ্যটির বিজেপির মুখপাত্র হরিশ খুরানা বলেন, ইকবাল শুধু বিধায়কই নন। উনি দিল্লি বিধানসভার সবচেয়ে বয়োজ্যেষ্ঠ নেতা। ওনার মন্তব্য হেলাফেলার নয়। ওনার দাবিকে সমর্থন করেই বলব দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হোক।

অপরদিকে মহারাষ্ট্রের অবস্থাও আরও আশঙ্কাজনক। মহারাষ্ট্রে করোনার তৃতীয় ঢেউ আসতে চলছে জুলাই-অগাস্ট মাসের মধ্যেই। এমনটাই জানিয়েছে মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপ। রাজ্যটিতে দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা ৭০ হাজারে কাছাকাছি। মৃত হাজারেরও বেশী। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান অক্সিজেনের জোগানে আত্মনির্ভর হয়ে ওঠাই এখন তাঁদের মুল লক্ষ্য। এদিকে গোটা ভারতে শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তর সংখ্যা ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৪৫২ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৪৯৮ জনের।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২১
ভিএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।