ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

ভ্যাকসিন না পাঠানোয় কেন্দ্রের উপর ক্ষুব্ধ মমতা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৮ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০২১
ভ্যাকসিন না পাঠানোয় কেন্দ্রের উপর ক্ষুব্ধ মমতা

কলকাতা: ‘আমরা ৩ কোটি টিকা চেয়েছিলাম, এখনও পেয়েছি ১ দশমিক ৯৯ কোটি। রাজস্থানের মতো ছোট রাজ্য পর্যাপ্ত টিকা পাচ্ছে।

উত্তরপ্রদেশ সাড়ে ৩ কোটি, মহারাষ্ট্র ৩ কোটি ডোজ পেয়েছে। আমরা চেয়েও কেন পাচ্ছি না। অথচ ভ্যাকসিন প্রয়োগে বাংলা প্রথমে। ভ্যাকসিন নেই বলে কলকাতায় শুধু দ্বিতীয় ডোজ দিতে হচ্ছে। ভ্যাকসিন কিনতেও দিচ্ছে না, নিজেরাও পাঠাচ্ছে না। ’

বুধবার (৩০ জুন) ফের মোদী সরকারের ওপর ক্ষুদ্ধ হয়ে এসব বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।

পাশাপাশি সরবরাহ কম থাকায় টিকাকরণ সঠিক পথে চলছে না বলে আক্ষেপ করেছেন মমতা। তার পরক্ষণেই ফের সুর চড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, বাংলায় এখনও পর্যন্ত ২ কোটি ১৭ লাখ মানুষের টিকাকরণ হয়েছে। রাজ্যে ৪১ লাখ সুপার স্প্রেডারকে টিকা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র সরকারের পাঠানো ভ্যাকসিন থেকে ১ কোটি ৯৮ লাখ মানুষের টিকাকরণ হয়েছে। বাকি ১৮ লাখ ডোজ আমরা কিনে দিয়েছি।  

রাজ্যে যে ফের একবার পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের অভাব প্রকট হয়েছে একথা মেনে নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতরও। ভ্যাকসিনের অভাবে ৮ লাখের বেশি মানুষ এখনও দ্বিতীয় ডোজ পায়নি। কিছু মানুষের সময় পেরিয়ে গেছে বলে জানা যায়। স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় টিকা বাকি রয়েছে ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৬৮৫ জনের। কোভ্যাক্সিনের বাকি রয়েছে ১ লাখ ৬৪ হাজার ১৬২ জনের।

স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, টিকার অভাবে নতুন পন্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার।

রাজ্যে যে পরিমাণ টিকা আসবে তার ৫০ শতাংশ বরাদ্দ থাকবে শুধু দ্বিতীয় টিকা হিসেবে। অর্থাৎ যাদের দ্বিতীয় টিকা বাকি তাদের দেওয়া হবে সেই টিকা। বাকি ৫০ শতাংশ নতুনদের।

প্রতিটি জেলার জেলাশাসক, মুখ্য স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, কলকাতার পুর কমিশনার ও সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ও সুপারদের এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, যতক্ষণ না পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন মিলছে, ততক্ষণ পর্যন্ত ৫০ শতাংশ ভ্যাকসিন বরাদ্দ থাকবে দ্বিতীয় ডোজের জন্য।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০২১
ভিএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।