ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

মমতার বার্তা নিয়ে দিল্লির নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছেন প্রতিনিধিরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২১
মমতার বার্তা নিয়ে দিল্লির নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছেন প্রতিনিধিরা

কলকাতা: বাংলায় ৭ বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত উপনির্বাচনের দাবিতে দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের ৬ প্রতিনিধি ।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টায় মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন প্রতিনিধিরা।

প্রতিনিধি দলে রয়েছেন—সুখেন্দুশেখর রায়, ডেরেক ওব্রায়েন, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় সম্প্রতি দ্রুত উপনির্বাচন সেরে ফেলার পক্ষে মত দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। ফলে ভোট করতে কোনো অসুবিধা হওয়া উচিত নয় নির্বাচন কমিশনের। তৃতীয় ঢেউ এলে আর করা যাবে না।

সেই আবেদন করতে দিল্লিতে যাচ্ছেন প্রতিনিধিরা। এতে নেতৃত্ব দেবেন সংসদ সদস্য সুদীপ।

সংসদ সদস্য সুখেন্দুশেখর বলেন, কমিশনকে বলা হবে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি আয়ত্তে আসায় প্রচারের জন্য ৭ দিন সময় দিয়ে উপনির্বাচন করা হোক। রাজ্যে এখন করোনা নেই বললেই চলে। এটাই উপনির্বাচনের উপযুক্ত সময়। নির্বাচন কমিশন বাস্তব অবস্থার প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নিলে রাজ্যের মানুষ স্বাগত জানাবেন। বিশেষ করে সেই ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষ, যারা এখনও তাদের প্রতিনিধিদের বিধানসভায় পাঠাতে পারেননি।

চলতি বছর অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনে ২৯৪টি আসনের বদলে ২৯২টি আসনে নির্বাচন হয়েছিল। প্রার্থীদের মৃত্যু হওয়ায় মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর ও সামসেরগঞ্জে ভোট হয়নি। পরে করোনা পরিস্থিতিতে তা অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে যায়। পাশাপাশি দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুর কেন্দ্রে ইস্তফা দিয়েছেন বর্তমান কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। কারণ ভবানীপুরে মমতা বন্দোপাধ্যায় প্রার্থী হতে পারেন। নন্দীগ্রামে মমতা পরাজিত হওয়ায় আগামী ৫ নভেম্বরের মধ্যে উপনির্বাচনে জিতে আসতে হবে তাকে। পাশাপাশি উত্তর ২৪পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪পরগনায় তৃণমূল প্রার্থী জয়ী হওয়ার পর করোনায় মারা গেছেন।

এছাড়া নদীয়া ও কোচবিহার জেলায় দুই বিজেপি সাংসদ বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হলেও পরে তারা বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছে। ফলে এসব কেন্দ্রে এখন বিধায়ক পদ শূন্য।

বাংলাদেশ সময়: ০২৫০ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২১
ভিএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।