ঢাকা, সোমবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প

কেনাকাটা পেপারলেস করতে বিশ্বব্যাংকের ৪৪০ কোটি টাকা ঋণ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৭
কেনাকাটা পেপারলেস করতে  বিশ্বব্যাংকের ৪৪০ কোটি টাকা ঋণ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন কাজী শফিকুল আযম ও চিমিয়াও ফান। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: সরকারি কেনাকাটায় স্বচ্ছতা আনতে এবং ই-জিপি সিস্টেমকে  প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ৫ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৪৪০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮০ টাকা হিসেবে)।

‘ডিজিটাইজিং ইমপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং অ্যান্ড পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রজেক্ট’ শীর্ষক প্রকল্পে এ অর্থ ব্যয় করা হবে। এর মাধ্যমে সরকারি কেনাকাটা পেপারলেস হবে।


 
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে এ সংক্রান্ত ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আযম ও বিশ্বব্যাংকের পক্ষে বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) মহাপরিচালক মো. ফারুক হোসেনসহ ইআরডি ও বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
 
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সরকারি ক্রয় কার্যক্রম উন্নত হবে। পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ নির্মাণে আরও একধাপ অগ্রগতি হবে।

জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় ই-জিপি প্রবর্তনকারী সংস্থা সিপিটিইউকে পুনর্গঠন করে এ কার্যক্রমের কর্তৃপক্ষ (অথরিটি) করা হবে। এছাড়া প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রয় ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিভূক্ত (এডিপি) প্রকল্পগুলোকে ডিজিটাল ও আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে তদারক করার লক্ষ্যে বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগকে (আইএমইডি) শক্তিশালী করা হবে।

২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হওয়ার কথা রয়েছে।
 
ঋণের শর্ত হিসেবে বিশ্বব্যাংককে উত্তোলিত অর্থের ওপর বার্ষিক শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। ঋণের অর্থ পরিশোধে ৬ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩৮ বছর সময় পাওয়া যাবে।
 
চিমিয়াও ফান বলেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর এডিপির আওতায় ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রকিউরমেন্টের ক্ষেত্রে ব্যয় করা হয়। প্রক্রিয়াগত ত্রুটির কারণে এতে প্রচুর অর্থের অপচয় হয়। যদি ১ শতাংশ অর্থের অপচয়ও রোধ করা যায়, সেটির পরিমাণ হবে ১০০ মিলিয়ন ডলার। যা দিয়ে দুই হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় কিংবা এক হাজার কিলোমিটার পল্লী সড়ক নির্মাণ করা সম্ভব।
 
কাজী শফিকুল আজম বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া বর্তমান সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার। প্রকল্পটি সে অঙ্গীকার পূরণে আরও একধাপ এগিয়ে নেবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ক্রয় কার্যক্রম গতিশীল হবে, নিশ্চিত হবে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা এবং অন্য প্রকল্পের দ্রুত বাস্তবায়নেও সহায়ক হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৭
এমআইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।