ঢাকা, সোমবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প

ঝুঁকি জেনেও দাম মেনে নিয়েছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০১৮
ঝুঁকি জেনেও দাম মেনে নিয়েছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা ঝুঁকি জেনেও দাম মেনে নিয়েছেন চামড়া ব্যবসায়ীরা (ফাইল ছবি)

ঢাকা: আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার। এবার ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম হবে ৪৫-৫০ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৩৫-৪০ টাকা। প্রতি বর্গফুট খাসির চামড়ার দাম ১৮-২০ টাকা ও বকরির চামড়া ১৩-১৫ টাকা। তবে নির্ধারিত দাম নিয়ে ব্যবসায়ীদের একপক্ষ মনে করছেন সঠিক অন্যপক্ষ দাম কমানোর পক্ষে। তারা চান ২৫-৩০ শতাংশ কমিয়ে দাম নির্ধারণ হোক।

বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে পশুর চামড়ার নতুন দাম ঘোষণার পর ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশ ট্যানারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সভাপতি শাহিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, যে দাম নির্ধারিত হয়েছে আমরা মনে করি এটাই সঠিক।

কেননা এরচেয়ে কমালে পাচার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই বেধে দেওয়া দামই যৌক্তিক বলে মনে করি।

তবে বেধে দেওয়া দামের সঙ্গে একমত নন বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএলএলএফইএ) সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বলেছিলাম ২৫-৩০ শতাংশ কমিয়ে দাম নির্ধারণ করতে। কিন্তু বাণিজ্যমন্ত্রী দেশের কথা চিন্তা করে মসজিদ, মাদ্রাসার কথা চিন্তা করে এই দাম নির্ধারণ করেছেন। তাই ব্যবসায় লোকসানের শঙ্কা থাকা সত্ত্বেও দেশের স্বার্থে আমরা ঝুঁকি নিয়েছি, মেনে নিয়েছি।

তিনি বলেন, আমাদের গত বছরের চামড়াই এখনও ২৫-৩০ শতাংশ মজুদ রয়েছে। তাছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারও পড়তি, এই অবস্থায় কিছুটা ঝুঁকি থেকে গেল ব্যবসায়।

এবছর প্রতি বর্গফুট খাসির চামড়ার দাম সারাদেশে ১৮ থেকে ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা গত বছর ছিল ২০ থেকে ২২ টাকা। আর বকরির চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ থেকে ১৫ টাকা, যা গত বছর ছিল ১৫ থেকে ১৭ টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৮
এসএম/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।