ঢাকা, রবিবার, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

মোবাইলে টাকা পাঠাতে খরচ কমানের আহ্বান মোস্তাফা জব্বারের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২৩
মোবাইলে টাকা পাঠাতে খরচ কমানের আহ্বান মোস্তাফা জব্বারের

ঢাকা: ডিজিটাল ব্যাংকিং দেশের সাধারণ মানুষের অতি পরিচিত ও জনপ্রিয় একটি সেবায় রূপান্তরিত হয়েছে উল্লেখ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের ক‌্যাশ আউট এবং টাকা পাঠানোর খরচ যৌক্তিক পর্যায়ে কমিয়ে এনে গ্রাহক স্বার্থ রক্ষার মাধ‌্যমে ক‌্যাশলেস সোস‌াইটির অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, শক্তিশালী ডিজিটাল অবকাঠামো গড়ে তোলার ফলে বাংলাদেশ একটি ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে ধাবিত হচ্ছে।

আমাদের লক্ষ‌্য কাগজের মুদ্রাহীন সমাজ গড়ে তোলা। ডিজিটাইজেশনের ফলে ২০০৯ সালের পর থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো অভাবনীয় রূপান্তর হয়েছে।

মন্ত্রী রোববার (১৯ মার্চ) ঢাকার আগারগাঁওয়ে পর্যটন কর্পোরেশন হলে ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ‌্যমে নারী গৃহকর্মীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং নারী নিয়োগদাতাদের ভূমিকা শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

ডিজিটাল কানেক্টিভিটি সম্প্রসারণের ফলে দেশে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) অভাবনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে উল্লেখ করে  মন্ত্রী বলেন, মোবাইল সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ডিজিটাল ডিভাইস হওয়ায় এমএফএসের মাধ্যমে ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে বাংলাদেশ দ্রুত ধাবিত হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় দেশের মানুষের কাছে ইন্টারনেটের চাহিদা অত‌্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে বেড়ে চলেছে।

আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল নিরাপত্তা অধিকতর নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, এমএফএসের অব্যাহত অগ্রগতি ক‌্যাশলেস সমাজ প্রতিষ্ঠার জন‌্য বিস্ময়কর। বাংলাদেশের জন্য এটি একটি দৃষ্টান্ত। আমাদের এই অবস্থান আগামী দিনের ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে। মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল খাতের অগ্রগতিতে আমরা কাজ করছি এবং যে কোনো সহযোগিতা দিতে সরকার বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, ১৯৯৭ সালে চারটি মোবাইল অপারেটরকে দেশে মোবাইল সেবা দেওয়ারর অনুমতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে মোবাইল প্রযুক্তি বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করেন।   ২০০৮ সালে দেশে ইন্টারনেটের চাহিদা ছিল মাত্র সাড়ে ৭ জিবিপিএস এবং ব‌্যবহারকারী ছিল মাত্র মাত্র ৮ লাখ। বর্তমানে ৪১০০ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব‌্যবহৃত হচ্ছে এবং ব‌্যবহারকারীর সংখ‌্যা প্রায় ১৩ কোটি। ২০৩০ সালে ইন্টারনেট ব‌্যান্ডউইথের চাহিদা ৩০ হাজার জিবিপিএস অতিক্রম করতে পারে।

তিনি বলেন, স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে স্মার্টফোন সহজলভ‌্য করতে সহজ কিস্তিতে স্মার্টফোন সরবরাহ করার বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। আমাদের লক্ষ‌্য ডিজিটাল দক্ষতা সম্পন্ন মানব সম্পদ গড়ে তোলা।

শিক্ষার  ডিজিটাল রূপান্তরের পথ প্রদর্শক মোস্তাফা জব্বার বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে আর্থিক স্বচ্ছলতা অর্জনের সুযোগ তৈরি হবে। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্জন করেছি। স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জনে সরকার কাজ করছে। স্মার্ট বাংলাদেশের মূল স্তম্ভ হচ্ছে স্মার্ট মানুষ।

মন্ত্রী নতুন প্রজন্মকে ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনের মাধ‌্যমে আগামী দিনের উপযোগী স্মার্ট মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এছাড়া তিনি গৃহকর্মীদের জন‌্য একটি ডাটাবেস তৈরি করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এর ভিত্তিতে তাদের জন‌্য মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের বিশেষ সুবিধার বিষয়ে কাজ করা সহজ হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২২
এমআইএইচ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।