ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

বার্লিন সফরে গিয়েও চাপের মুখে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২৩
বার্লিন সফরে গিয়েও চাপের মুখে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী

পূর্ব পরিকল্পিত বার্লিন সফরে গিয়েও চাপের মুখে পড়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি জার্মানির রাজধানীতে আসার পরপরই কয়েকশো ইসরায়েলি এর প্রতিবাদ জানান।

ব্রান্ডেনবুর্গ তোরণের কাছে বিক্ষোভকারীরা নেতানিয়াহুকে ‘ক্রাইম মিনিস্টার’ আখ্যা দিয়ে শ্লোগান দেন।

এর আগে গত দশ সপ্তাহ ধরে নেতানিয়াহুর বার্লিন সফর নিয়ে বিক্ষোভ হচ্ছিল। তার এ সফর বাতিল করতে খোলা চিঠি দিয়েছিলেন ইসরায়েলি বুদ্ধিজীবীরা।

সফরে এসে বিচার বিভাগের সংস্কারের বিতর্কিত পদক্ষেপের পক্ষে সাফাই গান। এ নিয়েও তার বিপক্ষে ব্যাপক সমালোচনা ছিল। তিনি মনে করেন, বিচার বিভাগের সংস্কারে তার দেশ আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। তা ছাড়া দেশটির গণতন্ত্রে যে দুর্বলতা রয়েছে, সেটিও কেটে যাবে।

নেতানিয়াহুর দাবি, তিনি পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশগুলোর মতো ইসরায়েলেও ক্ষমতাকেন্দ্রগুলোয় ভারসাম্য আনার চেষ্টা করছেন। বার্লিনে জার্মান চ্যান্সেলর ওলোফ শুলজের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তার সরকারের বিরুদ্ধে ‘অপবাদ ও মিথ্যাচার’ ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, আমি আমার দেশের ক্ষমতাকেন্দ্রগুলোয় ভারসাম্য আনার চেষ্টা করছি। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে আমার সরকারের বিরুদ্ধে কটু কথা হচ্ছে।

শুলজও নেতানিয়াহুকে তার পদক্ষেপের ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করতে বলেছেন। ‘ইসরায়েলের বন্ধু’ হিসেবে তিনি আশা করেন, ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হ্যারৎসগের আপোষ প্রস্তাব সম্পর্কে এখনো শেষ কথা বলা হয়নি।

বর্তমান ঘটনাবলি সত্ত্বেও ঐতিহাসিক কারণে ইসরায়েলের সঙ্গে জার্মানির বিশেষ সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো মৌলিক পরিবর্তন হবে না বলে নেতানিয়াহুকে আশ্বাসও দেন শুলজ।

ডয়েচে ভেলের খবরে বলা হয়েছে, বার্লিনে এসে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক ভাল্টার স্টাইনমায়ারের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। এ সময় অনেকটা নরম সুরে কথা বলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী। তাদের মধ্যে কি নিয়ে আলাপ হয়েছে, তা নিয়ে গণমাধ্যমে কোনো খবর নেই। কেননা, স্টাইনমায়ারের দপ্তর থেকে এখনও কোনো বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি। ইসায়েলি বার্তা মাধ্যমও কোনো তথ্য দেয়নি।

ইসরায়েলের বর্তমান জোট সরকারের কিছু আলট্রা অর্থোডক্স ও চরম দক্ষিণপন্থি মন্ত্রীর সঙ্গে প্রকাশ্যে আলোচনার বিষয়ে জার্মানিসহ পশ্চিমা বিশ্বে প্রবল অস্বস্তি কাজ করছে। শুলজ ও নেতানিয়াহু দুই দেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা আরও জোরদারের অঙ্গীকার করেছেন। এর ধারাবাহিকতায় ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানি বলবত রাখবে জার্মানি এবং ইসরায়েল থেকে ‘অ্যারো ৩’ নামে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম কিনবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২৩
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।