ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ইউক্রেনে যে কারণে তোপের মুখে ভারতীয় শিক্ষার্থীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২৩
ইউক্রেনে যে কারণে তোপের মুখে ভারতীয় শিক্ষার্থীরা

ভারতীয় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে ইউক্রেনে। ইউক্রেনবাসীর রোষের মুখেও পড়তে হচ্ছে সেখানে অধ্যয়নরত ভারতীয় শিক্ষার্থীদের।

নিজের দেশে ফিরে যাও, ইউক্রেনবাসীর কাছ থেকে প্রায় প্রতিদিনই এমন কথা শুনতে হচ্ছে তাদের। এই পরিস্থিতিতে দেশটিতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের।  

সেখানে তাদের প্রতিনিয়ত তাড়া করে বেড়াচ্ছে আতঙ্ক। রাশিয়ার মিত্র দেশ ভারত— এ কারণেই দিন দিন ইউক্রেনে দুর্ভোগ বাড়ছে বলে দাবি ভারতীয় শিক্ষার্থীদের একাংশের।

পড়াশোনা শেষ করতে অনেক ভারতীয় শিক্ষার্থীই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। তাদের একাংশের দাবি, ইউক্রেনের বহু নাগরিকই তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছে। বিষয়টি নিয়ে এক শিক্ষার্থী বলেছেন, আমাদের দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলছেন স্থানীয়রা। গত আট সপ্তাহ ধরে পরিস্থিতি ক্রমশ আরও খারাপ হচ্ছে।

যুদ্ধের কারণে ২০২২ সালে ইউক্রেন থেকে প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষার্থীকে সরিয়ে নেওয়া হয়। ওই শিক্ষার্থীরা আশা করেছিলেন, ভারতীয় বা কোনো বিদেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা শেষ করবেন। কিন্তু সেটা হয়নি বলে দাবি। চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে আরও ৩ হাজার ৪০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা শেষ করতে ইউক্রেনে ফিরে গেছেন।  

মধ্যপ্রদেশের এক শিক্ষার্থীর কথায়, ন্যাশনাল মেডিকেল কাউন্সিলের নির্দেশিকা অনুযায়ী ২০২১ সালের ডিসেম্বরের পর যারা বিদেশে পড়াশোনা শুরু করেছেন, তারা অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত হতে পারবেন না। সেই কারণেই আমি এবং আমার মতো অনেক শিক্ষার্থীই ইউক্রেনে ফিরতে বাধ্য হয়েছি।

আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ইউক্রেনের স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন- তোমরা ভারতীয়রা রাশিয়ার ভালো বন্ধু। আমাদের দেশ থেকে চলে যাও।

অন্য এক শিক্ষার্থীর দাবি, ইউক্রেনের কয়েকটি দোকানে কোনো কিছু কিনতে পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে না ভারতীয়দের। তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ।

এক শিক্ষার্থী বলেছেন, অনেক সময় পানি সরবরাহ করতে দেওয়া হচ্ছে না। বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। কীভাবে আমরা বাঁচব? আমরা আতঙ্কে রয়েছি। ভারতে আমাদের পরিবারও ভয়ের মধ্যে আছে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া, টাইমস নাউ, ইন্ডিয়ান ডিফেন্স রিসার্চ উইং

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।