অবশেষে বাস্তবে রূপ নিলো ট্রাম্পের বহুদিনের হুমকি— ওয়াশিংটন ডিসির স্থানীয় সময় ঠিক রাত ১২টা থেকে কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক এবং চীনের ওপর নতুন ১০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হয়েছে।
কানাডা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে—যদি আমেরিকা তাদের পণ্যে শুল্ক আরোপ করে, তাহলে তারা পাল্টা ব্যবস্থা নেবে।
সোমবার দেশটি ঘোষণা করেছে, তারা ১৫৫ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বসাবে।
প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, প্রথম ধাপে কানাডা ৩০ বিলিয়ন ডলারের পণ্যের উপর শুল্ক আরোপ করবে, আর বাকি ১২৫ বিলিয়ন ডলারের ক্ষেত্রে ২১ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার কথায় স্পষ্ট, যতদিন আমেরিকার শুল্ক বহাল থাকবে, ততদিন মার্কিন পণ্যে কানাডার শুল্কও কার্যকর থাকবে।
এর আগেও কানাডা এমন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে— ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম প্রশাসনের সময় দেশটি ডলার-ফর-ডলার ভিত্তিতে ১৬.৬ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলারের শুল্ক বসিয়েছিল।
তবে কানাডার হাতে আরেকটি শক্তিশালী অস্ত্র আছে, যা আমেরিকার জন্য আরও বেশি কষ্টদায়ক হতে পারে— তা হলো জ্বালানির প্রবাহ সীমিত করা। কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান তেল সরবরাহকারী, পাশাপাশি ৩০ শতাংশ মার্কিন রাজ্যে বিদ্যুৎও সরবরাহ করে। যদি এই খাতেও কোনোও বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়, তাহলে তা আমেরিকার জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে।
মার্কিন কোম্পানিগুলো উদ্বিগ্ন
শুল্কের ধাক্কা শুধু আমেরিকান আমদানিকারকদের উপরই আসবে না, রপ্তানিকারকরাও এর চাপে পড়বে।
মিসিসিপির এক ব্যবসায়ী জানান, তার কোম্পানিতে ১০০ জনের বেশি মানুষ কাজ করে, যেখানে কাঠের প্যানেল ও ব্যাকইয়ার্ড জিপলাইনের মতো পণ্য তৈরি করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কানাডার বাজারে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন এবং কিছুটা সফলও হয়েছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে তার সমস্ত পরিকল্পনা থমকে গেছে।
কানাডিয়ান ক্রেতারা ইতিমধ্যেই তাদের অর্ডার স্থগিত রেখেছে। তারা মার্কিন শুল্ক নীতিতে অসন্তুষ্ট। তার গত চার থেকে পাঁচ বছরের সমস্ত প্রচেষ্টা এক মুহূর্তে ভেস্তে যেতে পারে বলে হতাশতা প্রকাশ করেন তিনি।
সূত্র: বিবিসি
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৮ ঘণ্টা,মার্চ ০৪,২০২৫
এমএম