যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে রাশিয়া যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা। বুধবার এ খবর জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্প জানান, সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির বিষয়ে এরইমধ্যে ইতিবাচক বার্তা পেয়েছেন। যদিও এরপর নিজেই স্বীকার করেন, বাস্তবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত এ ধরনের ইতিবাচক বার্তার কোনো মূল্য নেই।
বুধবার ওভাল অফিসে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাইকেল মার্টিনের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, ইতিবাচক বার্তার কোনো মানে হয় না। এটি খুবই গুরুতর একটি পরিস্থিতি।
একদিন আগেই সৌদি আরবের জেদ্দায় যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন ইউক্রেনের শীর্ষ কর্মকর্তারা। দীর্ঘ আলোচনা শেষে ইউক্রেন ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি বলে খবর আসে।
মার্কিন প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, বল এবার রাশিয়ার কোর্টে। যুদ্ধবিরতির বিষয়ে শিগগিরই মস্কোতে প্রস্তাব পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
পরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদোমির জেলেনস্কিও বলেন, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে রাশিয়াকে রাজি করানো এখন যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্ব।
ক্রেমলিন বলছে, তারা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি ভেবে দেখছে। এ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ফোনে কথা বলতে পারেন বলেও জানানো হয়েছে।
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাশিয়া রাজি হবে কি না, বিষয়টি আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে। রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এমনটি জানান।
সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই ইউক্রেনে যুদ্ধ আবারো তীব্র আকার ধারণ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৫
আরএইচ