সংযুক্ত আরব আমিরাত বিকল্প ডিজিটাল শনাক্তকরণ ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে। যা আমিরাতে গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবায় প্রবেশের জন্য প্রচলিত এমিরেটস আইডি কার্ড প্রদর্শনের ঝামেলা থেকে মুক্তি দেবে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম খালিজ টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদন অনুসারে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে এক বছরের মধ্যেই ডিজিটাল শনাক্তকরণ ব্যবস্থা চালু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিষেবায় প্রবেশকে সহজতর করতে মুখ স্বীকৃতি এবং বায়োমেট্রিক শনাক্তকরণ পদ্ধতি ব্যবহার করবে।
ফেডারেল অথরিটি ফর আইডেন্টিটি, সিটিজেনশিপ, কাস্টমস এবং পোর্ট সিকিউরিটি বর্তমানে ব্যাংকিং, স্বাস্থ্যসেবা, অতিথিসেবা এবং টেলিযোগাযোগ খাতে ই-এমিরেটস আইডির ব্যবহার সম্প্রসারণের জন্য কাজ করছে।
এ বিষয়টি ফেডারেল ন্যাশনাল কাউন্সিলের (এফএসসি) একটি অধিবেশনে উঠে আসে, যেখানে সদস্য আদনান আল হাম্মাদি দেশের ডিজিটাল রূপান্তরের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সত্ত্বেও এমিরেটস আইডি কার্ডের অব্যাহত প্রয়োজনীয়তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
আল হাম্মাদি উল্লেখ করেন, এই প্রয়োজনীয়তা বাসিন্দাদের জন্য ক্রমাগত সমস্যা তৈরি করছে। রোগীদের এখনও স্বাস্থ্যসেবা পরিষেবায় অ্যাক্সেসের জন্য আইডি কার্ড দেখাতে হয়। যখন ব্যাংকে আর্থিক লেনদেনের জন্য এটি চায়। এছাড়াও হোটেলের অতিথিরা প্রায়শই তাদের এমিরেটস আইডি না দেখিয়ে চেক-ইন করতে পারেন না।
ফেডারেল অথরিটি ফর আইডেন্টিটি, সিটিজেনশিপ, কাস্টমস অ্যান্ড পোর্ট সিকিউরিটির (আইসিপি) পক্ষে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ফেডারেল ন্যাশনাল কাউন্সিলবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী আবদুল রহমান আল ওওয়াইস নিশ্চিত করেছেন যে, ই-এমিরেটস আইডি ইতোমধ্যেই অনেক পরিষেবায় সফলভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান যে, কর্তৃপক্ষ এফএনসি কর্তৃক চিহ্নিত ক্ষেত্রগুলোতে এর ব্যবহার সম্প্রসারণকে অগ্রাধিকার দেবে।
এর আগে জিআইটিইএক্স ২০২১-এর সময় ইউএইপাস অ্যাপের জন্য মুখের স্বীকৃতি পরিষেবা চালু করে কর্তৃপক্ষ। যা নাগরিক এবং বাসিন্দাদের জন্য প্রথম সুরক্ষিত জাতীয় ডিজিটাল পরিচয় যা তাদের অনেক পরিষেবায় অ্যাক্সেস করতে সক্ষম করে।
বাংলাদেশ সময়: ০২২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২৫
এএটি