ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

জিকা ভাইরাস

জনস্বাস্থ্যে বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি ডব্লিউএইচও’র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৬
জনস্বাস্থ্যে বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি ডব্লিউএইচও’র ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

সোমবার (০১ ফেব্রুয়ারি) সংস্থাটি এ জরুরি অবস্থা জারি করে বলে মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারি) জানানো হয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে।



১৯৪৭ সালে উগান্ডায় লেক ভিক্টোরিয়ার কাছে জিকা বনে প্রথম একটি বানরের দেহে জিকা ভাইরাসের সন্ধান মেলে। পরে ওই বনের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়। সাধারণত আফ্রিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপগুলোয় এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। তবে এবার তা আমেরিকা মহাদেশে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের প্রায় ৩০টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। ব্রাজিল ও হন্ডুরাসে এ প্রাদুর্ভাব মহামারীর আকার ধারণ করেছে। হন্ডুরাসে এরই মধ্যে জরুরি অবস্থাও জারি করা হয়েছে।

ডেঙ্গুজ্বর ছড়ানো বিশেষ প্রজাতির এডিস এজিপ্টি (Aedes aegypti) মশকির মাধ্যমে জিকা ভাইরাসও ছড়িয়ে থাকে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এ ভাইরাস সংক্রমণ ঘটায় না। সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হলে যে ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পায়, এক্ষেত্রেও একই ধরনের লক্ষণ দেখা যায়। সেই সঙ্গে ত্বকে দাগ, মাংসপেশী ও হাড়ের জয়েন্টে ব্যাথা হয়।

এখন পর্যন্ত এ ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। এর থেকে বাঁচার উপায় হলো এডিস মশার বংশবিস্তার বন্ধ করা ও মশার কামড় এড়িয়ে চলা। সাধারণত জমাট পরিষ্কার পানিতে ডিম পাড়ে এ প্রজাতির মশা। কাজেই কোথাও যেন পানি বেশিক্ষণ জমে না থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

ডব্লিউএইচও আশঙ্কা করছে, যে হারে জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে চলেছে, তাতে এ বছর বিশ্বজুড়ে ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হবেন।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাটির মহাপরিচালক মার্গারেট চ্যান বলেছেন, মাইক্রোসেফালি আক্রান্ত হওয়ার বা নবজাতকের অপেক্ষাকৃত ছোট আকারের মাথা নিয়ে জন্ম নেওয়ার সঙ্গে জিকা প্রাদুর্ভাবের সম্পর্ক রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ কারণেই মূলত জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।

তবে ডব্লিউএইচও’র ১৮ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ মনে করেন, মাইক্রোসেফালির সঙ্গে জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কোনো সম্পর্ক থাকুক বা না থাকুক, এর কোনো প্রতিষেধক এখনও আবিষ্কার হয়নি। কাজেই সাবধনতা অবলম্বন ছাড়া ভিন্ন কোনো উপায়ও নেই, বলেন চ্যান।

তিনি আরও বলেন, এছাড়া মাইক্রোসেফালিতে আক্রান্ত শিশুর জন্মের হারও বেড়ে গেছে। এ বিষয়টিও চিন্তার।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৬
আরএইচ

** অস্ট্রেলিয়াতেও জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব

** জিকা ভাইরাস এবার ডেনমার্কে, ব্রিটেনেও শনাক্ত
** এল সালভেদরে ২০১৮ সাল পর্যন্ত কোনো সন্তান নয়
** অস্ট্রেলিয়াতেও জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব
** এল সালভেদরে ২০১৮ সাল পর্যন্ত কোনো সন্তান নয়

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।